রিয়াজ শাওন
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণরোধে দীর্ঘদিন দেশের স্কুল কলেজ বন্ধ রেখেছে সরকার। সারাদেশে লকডাউন। দিন দিন বাড়ানো হচ্ছে লকডাউনের সময়সীমা। কবে যে লকডাউনমুক্ত হবে বাংলাদেশ। সেই হিসেবে কেউই মিলিয়ে দিতে পারছে না। ভেঙে পড়েছে সাধারণ মানুষ। জীবনযাত্রায় নেমে এসেছে দুর্ভোগ।
প্রানঘাতী করোনা কেড়ে নিয়েছে জীবনের মহামূল্যবান একটি বছর। কেড়ে নিয়েছে লাখ লাখ প্রান। দিয়েছে দুঃখ কষ্ট যন্ত্রণা আর হতাশা। আর শিক্ষার্থীদের জীবন পড়েছে অনিশ্চিতয়ার মূখে। তাদেরই একজন পাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঐতিহ্যবাহী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ শিক্ষার্থী তাসনিমা আখতার। এই শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এ প্রতিবেদক।
দৈনিক শপথ: মহামারি করোনার এই দূর্যোগকালীন বন্ধে পড়াশোনা কেমন চলছে?
তাসনিমা আখতার: পড়াশোনার গতি অনেকাংশে কমে গেছে।
দৈনিক শপথ: দীর্ঘ সময় ধরে কলেজ বন্ধ। এই বন্ধ সময়ে বাসায় পড়াশোনা কিভাবে করা হয়?
তাসনিমা আখতার: একাডেমিমের তুলনায় চাকুরীর জন্য কিছু সময় নিজের মতো করে পড়া হয়।
দৈনিক শপথ: বাসায় পড়াশোনা করার জন্য কলেজ থেকে কোন গাইডলাইন দেয়া হয় কি না?
তাসনিমা আখতার: হ্যাঁ।
দৈনিক শপথ: বাসায় পড়াশোনা ছাড়া অন্য কি করে সময় কাটে?
তাসনিমা আখতার: মা-বাবার কাজে সাহায্য করা এবং ছোট বোনদের পড়ানো, মোবাইল ব্যবহার ইত্যাদির মাধ্যমে।
দৈনিক শপথ: সাধারণত এত দীর্ঘ সময় ধরে কলেজ বন্ধের সাথে আপনি পরিচিত না। সেই ক্ষেত্রে এতদিন কলেজের ক্লাস থেকে দূরে থাকায় পড়াশোনা প্রতি কোন অনিহা কাজ করছে কি না?
তাসনিমা আখতার :হ্যাঁ অনীহা কাজ করছে।
দৈনিক শপথ: করোনার পর্রবতীকালে পড়াশোনায় কেমন প্রভাব ফেলবে বলে আপনি মনে করেন?
তাসনিমা আখতার: পড়াশোনার ক্ষেত্রে ঠিক আগের গতিতে ফিরে আসতে কিছুটা কঠিন হবে।
দৈনিক শপথ: বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষক কিংবা বন্ধু-বান্ধবী কাকে বেশি মিস করেন?
তাসনিমা আখতার: বিশ্ববিদ্যালয়কে।
দৈনিক শপথ: এত লম্বা সময় ধরে কলেজ বন্ধ থাকায় আপনি কতটা খুশি?
তাসনিমা আখতার: আমি মোটেও খুশি নই।
দৈনিক শপথ: করোনা পর্রবতীকালে আপনার ভাবনা কি?
তাসনিমা আখতার: স্বাভাবিক জীবনযাপন।
দৈনিক শপথ: একজন শিক্ষার্থী কিভাবে করোনাকালে মানসিক এবং শারীরিক সুস্থ থাকতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
তাসনিমা আখতার: শারীরিক চর্চা এবং বই পড়া।
দৈনিক শপথ: একজন মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে অন্য শিক্ষার্থীদেরকে সঠিক ভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আপনি কি পর্রামশ দিতে চান?
তাসনিমা আখতার: এই দীর্ঘ সময় হতাশায় পরিণত না করে ভাবতে হবে এই সময়টুকু পরীক্ষার আগের দিন।
দৈনিক শপথ আপনার সফলতা কামনা করে।
তাসনিমা আখতার: দৈনিক শপথ পরিবারকে অনেক ধন্যবাদ।