তুহিন ফয়েজ:
মতলব উত্তর উপজেলায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রেমিকার সরলতার সুযোগে প্রেমিক ও তার বন্ধুরা মিলে এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলার সাড়ে পাচানী গ্রামের আঃ সালাম মিজির ছেলে ইকবাল শামীম (৩৫) কে প্রধান করে গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন ওই ধর্ষিতা তরুণী। তার বাড়িও একই গ্রামে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, দীর্ঘদিন ওই তরুণীর সাথে মামলার প্রধান আসামী ইকবাল শামীমের প্রেমের সম্পর্ক চলছিলো। তাদের বিয়ের কথাও পাকা হয়। ঘটনার ২০-২৫ দিন আগে ইকবাল শামীম প্রবাস থেকে দেশে আসেন। গত ২১ জুন প্রেমিকাকে সে দেখা করতে বললে ওই তরুণী প্রথমে অসম্মতি জানায়।
যদিও আসামীর অনেক অনুরোধের পর তার কথা অনুযায়ী ঢাকার যাত্রীবাড়ীতে রাত ৮ টার সময় দেখা করেন তরুণী। ওই সময় আসামী ও তার বন্ধু মতলব উত্তরের বড়হলদিয়া গ্রামের আমজাদ প্রধানের ছেলে পারভেজ প্রধান জোড় পূর্বক কেরানীগঞ্জ এলাকায় বসুন্ধরা রিভারভিউ আবাসিক এলাকা ১৪নং রোডে অবস্থিত জননী বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলায় নিয়ে যায়।
সেখানে বাদীকে রুমে আটকে রেখে রাত সাড়ে ১২টা থেকে ভোর রাত পর্যন্ত পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে সকাল বেলা আসামীরা ঘুমিয়ে পড়লে কৌশলে তরুণী রুম থেকে বেরিয়ে বাড়িতে পালিয়ে আসে। পরে ২২ জুন কেরানীগঞ্জ থানায় ওই ধর্ষিতা তরুণী বাদী হয়ে গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
এর কিছুদিন পরে ওই বাদীকে প্রধান আসামী বিয়ে করবে প্রলোভন দেখিয়ে সাড়ে পাচানী গ্রামের তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে সাদা কাগজে জোড়পূর্বক স্বাক্ষর নেয় প্রধান আসামী সহ তার বন্ধু বান্ধব ও আত্মীয় স্বজন। শুধু তাই নয় তাকে গণধর্ষণ মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি ধামকি দেয় এবং বাদীর পরিবারকে অনেক বড় ক্ষতি করবে বলে হুমকি প্রদান করে। এ ঘটনায় ওই তরুণী বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় আরেকটি জিডি দায়ের করেন।
বাদী বলেন, আসামী ইকবাল শামীমের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্কের কারণে তার অনুরোধে দেখা করতে যাই। ঘটনার পরে বিয়ের কথা বলে আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে নির্যাতন করে আর মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দেয়। শুধু তাই নয়, প্রধান আসামী মামলা থেকে বাঁচতে বিদেশে পালিয়ে যাবে বলে পায়তারা করছে। আমি প্রশাসনের কাছে এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার ওসি মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল বলেন, জিডি করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।