তুহিন ফয়েজ:
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রহরী ওই স্কুলের রাতে প্রহরীর দায়িত্ব পালন না করে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দোকানদারি নিয়ে ব্যস্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া যায়। মতলব উত্তর উপজেলার নান্দুরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম প্রহরী মোঃ কাউছার এভাবেই তার দায়িত্বের অবহেলা করছেন কর্তৃপক্ষকে তোয়াক্কা না করে।
সরেজমিনে গত ৩১ জুলাই ও ১ আগস্ট দুইদিন রাত ১০টার দিকে স্কুলে গেলে প্রহরী কাউছারকে পাওয়া যায়নি। পরে খোঁজ খবর নিয়ে যায় তিনি সুজাতপুর বাজারে তার দোকানে আছেন। সেখানে দিয়ে তার ছবি ও ভিডিও ধারণ করা হয়। পরে রাত ১১টার দিকে কথা হয় কাউছারের সাথে। এসময় কাউছার হতমম্ভ হয়ে বলেন, আমি তো হার্টের রোগী তাই যাই না। বেশি রাত জাগতে পারি না। এভাবেই প্রতিদিন ডিউটি না করে দোকানদারি করেন? এমন প্রশ্নের জবাব দিতে পারেন নি তিনি। এসময় স্থানীয়রা জানান, তিনি একটি কিশোর গ্যাংয়ের সাথে জড়িত আছেন। ওই প্রভাব খাটিয়ে স্কুলে দিনের বেলায় নামমাত্র ডিউটি করেন আর হাজিরা দেন। কিন্তু রাতের আর স্কুলে ডিউটি করেন না। সরকার বিদ্যুতের সমস্যা রোধ করার জন্য রাত ৮টার পরে দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেও তিনি দেদারছে ১২টা, ১টা পর্যন্ত দোকানদারি করেন বলেও অভিযোগ আছে।
এদিকে নান্দুরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিল্লাল হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কাউছার হার্টের রোগী। তারপরও তাকে আমরা ডিউটির জন্য চাপে রাখি। প্রধান শিক্ষক মনোরঞ্জন বলেন, কাউছারকে নিয়মিত ডিউটি করার জন্য বলি কিন্তু সে ডিউটি করে না। তার বিরুদ্ধে উপজেলা শিক্ষা অফিসে অভিযোগ করবো, কিন্তু কমিটির লোকেরা স্বাক্ষর দেয় না।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইকবাল হোসেন ভুঞা বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হলাম। বর্তমানে হজে¦র ছুটিতে আছি। অফিসে এসে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।