নজরুল ইসলাম আতিক:
শাহরাস্তিতে প্রাইভেট কার দুর্ঘটনায় নিহত পাঁচজনের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল থেকে তাদের মরদেহ বুঝে নেন স্বজনরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের মরদেহ স্বজনরা নিয়ে গেছেন। দুর্ঘটনার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। এছাড়া পরবর্তীতে যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে সেজন্যও একটি মামলা দায়ের হতে পারে। তবে এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এর আগে মঙ্গলবার রাত পৌনে ১টার দিকে একটি প্রাইভেট কার যোগে কুমিল্লা থেকে মনোহরগঞ্জ যাওয়ার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পূর্ব নরহ গ্রামের মোল্লার টেক এলাকায় পুকুরে পড়ে যায়। এ দুর্ঘটনায় মোঃ শাহপরান তুষার (২২), শাকিল (২৩), রেজাউল করিম (২৩), নয়ন (২৪) ও গাড়ি চালক সাগর হোসেন (২৪) নিহত হন।
পরে তাদের মরদেহের ময়না তদন্ত ছাড়াই স্বজনরা নিয়ে যেতে চায়। এক পর্যায়ে বুধবার বিকেলে উঘারিয়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্র থেকে পুলিশ যখন মরদেহগুলো নিয়ে রওনা হয় তখন সামনের চিতোষী পূর্ব বাজারে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে একটি দল ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এতে দুজন পুলিশ সদস্য সামান্য আহত হয়। তখনই উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে শটগানের ১৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ।
পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ জানান, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িটি উদ্ধারের পর সেটিতে এক বোতল বিদেশি হুইসকি পাওয়া গেছে। আবার তাদের শরীরে কোন আঘাতের তেমন কোন চিহ্নও ছিল না। একই গাড়িতে ৫ জন লোক ছিল। অথচ কেউই দরজা খুলে বের হতে পারলো না। এ কারণেই আমরা পোস্টমর্টেমে পাঠিয়েছি। ভিসেরা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করলে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। কিন্তু স্বজনরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ নিয়ে যেতে চেয়েছিলো। এর জন্য আইনি প্রক্রিয়া হিসেবে এডিএম-এর অনুমতি নিতে হয়। আমরা তাদেরকে সময় দিয়েছিলাম অনুমতি আনার জন্য। কিন্তু দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরও তারা অনুমতি নিয়ে আসেননি।