বিশাল দাস:
মোঃ সেলিম মিয়া। বষয় ষাট উর্ধ্বো। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম হলেও তিনি চাঁদপুর শহরের মানুষের কাছে পরিচিত মুখ। অবশ্য বিশেষ কেউ নন তিনি যে তাকে চিনতেই হবে। বিশেষত ঢাকা হোটেলে যারা খেয়েছেন বা নিয়মিত খাওয়া দাওয়া করেন তাদের কাছে এ মানুষটি খুবই পরিচিত। অমায়িক ব্যবহারের মানুষ মোঃ সেলিম। হোটেলের কাস্টমারকে খুশি রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা ঈর্ষণীয়। তিন ছেলে এক মেয়ের জনক সেলিম মিয়া। এক ছেলে বিদেশে থাকে। শহরের গুয়াখোলা এলাকায় নিজে জায়গা কিনে বাড়ি করেছেন। সেলিম মিয়া বলেন ঢাকা হোটেলের সবচে সিনিয়র স্টাফ আমি। আমার বেতন ১০হাজার টাকা। মানুষ খেয়ে বকশিস দেয়। ওই থেকে ডেইলি পাঁচ-সাতশ টাকা আয় হয়। তবে করোনায় লকডাউনে কাম কইমা গেছে। আয়ও কইমা গেছে। সেলিম মিয়া বলেন, হোটেলে মানুষ এখন আসে কম। এখন মানুষ বাসায় খায় বেশি। দেশ কি ঠিকমতো চলছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশ ভালোই চলতেছে। শেখ হাসিনার দেইখা দেশটা টিক্কা রইসে। চারমাস বইয়া আসি। কেউ ১০টাকা দিয়া হেল করে নাই। কেউ কইতে পারবো না আমারে ১০ টা টাকা দিসে। অনেক চাল বরাদ্ধ হইসে। আইডেন্টি কার্ড মার্ড সব দিসি। কিন্তু কিছু পাই নাই। অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠিকমতই দেয়। প্রধানমন্ত্রীর যারা সহকর্মী আছে তারাই লুটপাট কইরা খাইতেছে। শেখ হাসিনা লোকের মত দেশ টারে যে ঠিক রাখছে। আমি ওনার কাজে অনেক খুশি।