সম্পাদকীয়
গ্রাম বাংলার ভগ্নিগণ দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির নাগালের বাইরে রয়েছে কারণ গ্রাম-গঞ্জের পুরুষ শাসিত সমাজে পুরুষরাই পরিবারের ভরণপোষণ করে থাকে যার ফলে সামগ্রিকভাবে প্রভাবটা এখনো ভগ্নিগণের নজরে আসছে না। দৈনন্দিন জীবনের দ্রব্যমূলক কেনার ক্ষেত্রে পুরুষদের যে আর্থিক অনটনের ছাপ পরিবারের সদস্যদের উপর ব্যাপকভাবে ঝেঁকে বসছে। বাংলাদেশ এখন সমগ্র বাঙালি জাতিকে ধুম্রজালে আটকে দিয়েছে। অন্ন বস্ত্র বাসস্থান শিক্ষা চিকিৎসা যোগাযোগ প্রত্যেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ বীভৎসরূপে আত্মপ্রকাশ করেছে। ২০ ডিসেম্বর দৈনিক শপথ পত্রিকার প্রকাশ হয়েছে মসলার দামে আগুন। যে কোন খাতেই নজর দেওয়া হোক প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই অনিয়মের বেড়াজালে আটকে আছে। জাতির বিবেক দীর্ঘদিনের অনিয়মের নির্যাতনে দুর্নীতির কষাঘাতে লেপসে গেছে। যেমন দুর্ঘটনায় ট্রাক একটি দেহকে রাস্তার কালো পিচের উপর লেপে দেয় সমগ্র বাঙালি জাতি রাষ্ট্রীয় চাপাকলে লেপসে গেছে। যাতি এখন সম্পূর্ণ দিশেহারা। নৈতিকতা বোধ এখন নেই বললেই চলে। প্রতি পদে পদে জনগণ নিষ্পেষিত হচ্ছে আমলাতান্ত্রিক নিষ্পেষণ প্রকাশ হয়েছে। সমগ্র বাংলাদেশের প্রত্যেকটা দপ্তরে সাধারণ জনগণকে প্রতিনিয়ত আর্থিক মানসিক নির্যাতন করা হয়। এখন জনসেবার চেয়ে মানসিক নির্যাতনের পরিস্থিতিটাই মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষা খাতে যান শিক্ষার ব্যাপারে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকের সাথে বহুমুখী অনিয়মের চিত্র রয়ে গেছে। খাদ্য অধিদপ্তরের প্রতি প্রত্যেক দপ্তরেও জন দুর্ভোগের চিত্র রয়েছে। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোন সেক্টরে জন দুর্ভোগের কমতি নেই। মানুষ এখন আর কোনভাবেই শান্তিময় অবস্থাতে নেই। জেলা প্রশাসকের র্কাযালয়ের দিকে তাকান সেখানেও মানুষের ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শুভঙ্করের ফাঁকি চলছে। ই খতিয়ান নামে ওয়েবসাইট চালু করেছে। মানুষ অনলাইনে জমির খতিয়ান পাওয়ার জন্য দরখাস্ত করে থাকে। অনলাইনে টাকা পরিশোধ করা হয় কত দিনে খতিয়ান আবেদনকারীর কাছে পৌঁছবে সেই মেসেজও দিয়ে দেয়। কিন্তু ৪-৫ মাস পার হয়ে যায় জেলা পরিষদ থেকে ভূমি সংক্রান্ত সেই খতিয়ান আর আবেদনকারীর কাছে পৌঁছায় না। আবেদন ফি যাতায়াত ফ্রি পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পাঠানো হবে বলে নেওয়া হয়েছে কিন্তু আজও পায়নি। সেবার নিশ্চয়তা যদি জেলার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় কার্যক্রমের এই পরিস্থিতি হয় কোন খাতে জনগণকে ভালো রাখবে তা কোনভাবেই বুঝ দিতে পারবে না। তাই সচেতন মহলের দাবি সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর সংবাদে প্রকাশিত বিষয়টিসহ প্রত্যেক ক্ষেত্রে জনসেবা মূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে আরো সোচ্চার হবে বলে আশাবাদী।