নজরুল ইসলাম আতিক :
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক নন এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের অনুকূলে মঞ্জুরীকৃত অনুদানের চেক নির্দিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ১৯ জুলাই রবিবার সকালে উপজেলা মিলনায়তনে চেক বিতরণ করা হয়।
এসময় চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা বলেন, প্রত্যেকের কাছে আমি একটি মেসেজ পৌঁছে দিতে চাই। আপনারা জানেন ৫ হাজার টাকা শিক্ষকের জন্য, কর্মচারীদের জন্য আড়াই হাজার টাকার অনুদান দেওয়া হয়েছে। এই টাকাটা যদি আমরা শুধু চাঁদপুর নিয়ে ভাবি সেটা খুব অল্প মনে হয়। কিন্তু সারা বাংলাদেশ নিয়ে যদি আপনারা চিন্তা করেন তাহলে বুঝা যায় ৬৪ জেলায় টোটাল কতগুলো প্রতিষ্ঠানকে কত টাকা দেওয়া হয়েছে। ঠিক তেমনি প্রতিটি সেক্টরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভালোবাসা ও সহযোগিতার হাত পৌঁছে যাচ্ছে। শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর। যাদের হাত ধরে আমাদের সন্তানরা মানুষের মত মানুষ হয়।
তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা একটু খেয়াল রাখবেন যাতে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখার পাশাপাশি তাদের আত্মার উন্নয়ন ঘটে। আজকে দেখা যায় ৮ম, ৯ম শ্রেনি পড়–য়া ছাত্র ছাত্রীরা বিভিন্ন সন্ত্রাসীমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে এবং সমাজ বিরোধী কাজে লিপ্ত হচ্ছে। এখানে আমাদেরই ব্যর্থতা। তারা হয়তো আমাদের সন্তান না কিন্তু শিক্ষক হিসেবে তাদেরকে আমাদের মানবিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। শিক্ষকরা সবসময় সর্বোচ্চ সম্মানের স্থানে আছে। তাই শিক্ষকরা তাদের ছাত্র ছাত্রীদের পড়ালেখার পাশাপাশি মানবিকতার শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দিপু মণি এমপি’কে, যিনি এই সবকিছুর নেপথ্যে নিরলস কাজ করে যাওয়ায় চাঁদপুর আজ উন্নয়নের দোরগোড়ায়। আমি গভীর শ্রদ্ধায় কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি মাননিয় প্রধান মন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনাকে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম দেওয়ান। এসময় তিনি বলেন, আসলে এই করোনাকালীন সময়ে নন এমপিও শিক্ষকদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এই উপহার আমি টাকার হিসেবে বিবেচনা করছি না। উনি করোনাকালীন সময়ে যে শিক্ষকদের কথা স্মরণ রেখেছেন এটাই বড় কথা। তিনি এই করোনাকালীন সময়েও সাধারণ মানুষ, মধ্যবিত্ত এবং নি¤œবিত্ত সকলের কাছে তার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমাদের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি তার দায়িত্বে আসার পর থেকেই দুর্নীতি অনেকটাই কমে গেছে। এখন আর প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কোন খরব পাওয়া যায় না। তিনি আরো যোগ করে বলেন, ছাত্র ছাত্রীদের যে অবক্ষয় হয়েছে তা প্রতিরোধে আমরা যারা শিক্ষক ও অভিভাবক আছি তারা সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমরা যারা প্রতিনিধি ও শিক্ষা অফিসার আছি তাদেরকেও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তাহলে হয়তো প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীদের সঠিক ও স্বাভাবিক পথে পরিচালনা করতে পারবো। শিক্ষা ও সমাজের উন্নয়নে তিনি সবাইকে আন্তরিক ভাবে নিরলস ভাবে কাজ করার আহŸান জানান।
এসময় ১৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং আট জন ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে ১৪লক্ষ টাকার ২৯৬টি চেক বিতরণ করা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে দুইটি প্রতিষ্ঠানকে পঁচিশ হাজার টাকা চেক প্রদান করা হয়। চারটি প্রতিষ্ঠানের চারজন শিক্ষককে দশ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়। বাকি ১২টি প্রতিষ্ঠানের ২৪৩ জন শিক্ষক এবং ৫৩ জন কর্মচারীর মাঝে ২৮২টি চেক বিতরণ করা হয়। ২৪৩ জন শিক্ষককে পাঁচ হাজার টাকা এবং ৫৩জন কর্মচারীকে ২ হাজার ৫শ টাকার চেক দেওয়া হয়। এসময় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ কামাল হোসেনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।