এইচ.এম নিজাম:
সদ্য অনুষ্ঠিত চাঁদপুর সদর উপজেলার ৯নং বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ফের নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন সকল পরাজিত প্রার্থীরা। এ বিষয়ে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৫ জন পরাজিত নারী প্রার্থী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর ফের নির্বাচনের দাবীতে আবেদন করেছেন। তারা হলেন ১.২. ও ৩ নং ওয়ার্ডের মাইক প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী শানু বেগম, বই প্রতীকের সেলিনা বেগম, ৪.৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের তালগাছ প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী সাহিদা বেগম, ৭.৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সূর্যমুখী ফুল প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী বিলকিস বেগম, বই প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী (বর্তমান মেম্বার) ফাহিমা বেগম ও কলম প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী নাসিমা বেগম। আবেদনপত্রে তারা উল্লেখ করেন, উল্লেখিত ৯টি ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্রের ভোটগ্রহণে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপি করা হয়েছে। সেখানে পরাজিত প্রার্থীদের ভোটাররা নিজেদের প্রছন্দের প্রার্থীদের ভোট প্রয়োগ করতে পারেনি। বিজয়ী প্রার্থীদের লোকজন পেশি শক্তি ব্যবহার করে নিজেরাই ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করেছে। এছাড়া কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শেষে কেন্দ্রে গণনা না করে ভোট বাক্স চাঁদপুর নিয়ে গণনা করা হয়েছ বলে অভিযোগ করেন তারা। এ বিষয়ে ফের নির্বাচনের আবেদনকারী মাইক প্রতীকের প্রার্থী শানু বেগম, সূর্যমুখী ফুল প্রতীকের প্রার্থী বিলকিস বেগম, বই প্রতীকের প্রার্থী (বর্তমান মেম্বার) ফাহিমা বেগম ও কলম প্রতীকের প্রার্থী নাসিমা বেগম ও তালগাছ প্রতীকের সাহিদা বেগম বলেন, এই নির্বাচনে আমরা অনেক আশা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলাম। কিন্তু ভোটের দিন ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির মাধ্যমে আমাদের পরাজিত করা হয়েছে। তাই আমরা উল্লেখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এ দুটি আসনে পুনরায় নির্বাচনের দাবি করছি।
এ প্রসঙ্গে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ তোফায়েল হোসেন-এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।