স্টাফ রিপোর্টার:
বাবা-মা এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। তাদের ছায়াতলে এসেই সন্তান পৃথিবীর সুখ শান্তি সমৃদ্ধি উপলব্ধি করতে পারে। বাবা-মা তাদের সকল কিছু ত্যাগ স্বীকার করে তাদের সন্তানদের মানুষ করার জন্য সকল চেষ্টা করে থাকে। বাবা মা স্বপ্ন দেখে সন্তান বড় হয়ে মানুষ হবে। তাদের মুখ উজ্জ্বল করবে। শেষ জীবনে সন্তানের মায়া ভালোবাসা আর আদর যতেœর সাথে বসবাস করে জীবন ত্যাগ করে চলে যাবে পরপারে।
কিন্তু ক’জনেরই বা এই স্বপ্ন পূরণ হয়। এমনই একটি হতভাগা দম্পতি হলেন ৪নং শাহমাহামুদপুর ইউনিয়নে ৬নং ওয়ার্ড ভাটেঁগাও ইচুলী বাড়ির বাসিন্দা তাহের বেপারী (৭৫), লিলুফা বেগমের (৬০)। এই দম্পতির চার ছেলে চার মেয়ে। মেয়েদের সকলকে বিয়ে দিয়েছে। আর ছেলেদের সবাইও বিয়ে করেছে। জীবনের এই শেষ মূহুর্তে এসে প্রতিদিনই তাদের কখনো শরীরে কখনো হৃদয়ে আঘাত পেতে হচ্ছে। কখনো ছেলের হাতের আঘাত কখনো বৌয়ের হাতের আঘাত। কখনো ছেলের বৌয়ের মুখে অশ্রাব্য গালি। কখনো ছেলের ভাড়াটে মানুষের আঘাত। তাহের বেপারী মেঝো ছেলে মমিন হোসেন ও তার বৌ সালমা বেগম। প্রতিনিয়তই নানা ভাবে আঘাত দিয়ে যাচ্ছেন তাদেরকে। গত সপ্তাহে ছেলের বৌ সালমা বেগম ইট দিয়ে শ্বাশুড়ি লিলুফা বেগমের মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করেন। উক্ত ঘটনায় এলাকার মোড়লদের কাছে বিচার দিলেও সুষ্ঠু সমাধান পাননি নিলুফা বেগম।
গত শনিবার ছেলে মমিন দাড়িয়ে থেকে ভাড়াটে মানুষ দিয়ে বাবাকে মেরেছে। এটি গ্রামের মানুষ স্বচোখে দেখলেও প্রতিবাদ কেউ করেনি। কারন মমিন সালমা দম্পতি মানুষকে মামালার হুমকি দেয়। গত কয়েক বছরে বারবার মার খেতে হয়েছে এই দম্পতিকে। তাহের বেপারী অন্য ছেলেরা বাবা পাশে এসে দাঁড়াতে পারে না কারণ তাদের সকালে বিরুদ্ধে মমিন সালমা দম্পতি মামলা দিয়ে রেখেছে। এই দম্পতির বিচার করতে করতে এলাকায় গন্যমান্য ব্যক্তিরা বিরক্ত। তারা আর কোন বিচার করতে রাজি নয় বলে জানিয়েছেন অনেকে।
তাহের বেপারী বলেন, গত শনিবারের ঘটনা জন্য ওয়ার্ড মহিলা মেম্বারের কাছে গেলে তিনি নিজেকে অক্ষম বলে জানিয়ে দিয়েছেন। কারন তিনিও এই দম্পতির বিচার করতে করতে ক্লান্ত। মমিন সালমা দম্পতি কাউকে মান্য করেন না। কারন তার আছে টাকা আছে স্থানীয় কিছু প্রভাশালীর ছায়া।
শেষ বয়সে এসে সন্তানের হাতের মার খেয়ে কোন বিচার না পেয়ে আল্লাহর দরবারে বিচার চেয়েছেন তাহের বেপারী। বিশ্বাস আল্লাহ একদিন বিচার করবে।
এই বিষয়ে চেয়ারম্যান স্বপন মাহমুদ বলেন, তাহের বেপারী মার খাওয়া বন্ধ করতে প্রসাশন ভুমিকা নিবে এটাই এখন গ্রামবাসীর প্রত্যাশা।