স্টাফ রিপোর্টার:
গত ১৫ দিনে জোয়ারের পানি ও উত্তরাঞ্চলের বন্যার পানি চাপে চাঁদপুরের হামইচরে পানি বন্দি হয়ে পড়ে হাজার হাজার পরিবার। বিশেষ করে চরের মানুষের যেন ভোগান্তির অন্ত নেই। প্রতিদিনই বিকেলের জোয়ারের পানিতে আটকা পড়ে চরের মানুষের স্বাভাবিক জীবন। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে এসব মানুষ হয়ে পড়ে অসহায়। সম্প্র্রতি হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের ঈশানবালা, মাঝের চরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় মানুষের দুর্বিসহ জীবন চিত্র। অবশ্য এসব মানুষের পাশে একজনই সশরীরে উপস্থিত হয়ে শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য ও গো খাদ্য পৌঁছে দিতে দেখা গেছে। তিনি হলেন হাইমচর উপজেলার ৪নং নীলকমল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাউদ্দীন সরদার।
এ ইউনিয়নের মাঝের চরের পানিবন্দি মানুষ মরিয়ম বেগম, ঝুমা আক্তার, আয়শা বেগম জানান, সালাউদ্দীন চেয়ারম্যান ছাড়া আর ক্উে আমাদের খোঁজ নেয়নি। তিনি বৃষ্টিতে ভিজে নিজে এসে আমাদের হাতে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছেন। এছাড়া বেসরকারি উদ্যোগে কোনো সহায়তা আমরা পাইনি।
এ বিষয়ে ৪নং নীলকমল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাউদ্দীন সরদার জানান, সরকারি খাদ্য সহায়তা সঠিক বন্টনের জন্যে আমি নিজে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছি। অবশ্য আমার সাথে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বাররাও থাকেন। এ পর্যন্ত নদী ভাঙতি ও পানি বন্দি মানুষের জন্যে যেসকল সরকারি সহায়তা এসেছে আমাদের এমপি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এমপি মহোদয় এবং উপজেলা চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারী সার্বিক নির্দেশনায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে সহায়তা পৌঁছে দিয়ে এসেছি। এরপরে কেউ কেউ হয়তো সরকারি সহায়তা পায়নি। তাদেরকে আমার ব্যক্তিগত ভাবে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। তবে চরের মানুষের জন্যে সরকারি বরাদ্দ আরো বাড়িনো দাবি জানান এ চেয়ারম্যান।