হাজীগঞ্জ প্রতিনিধি:
পাঁচবার আপিল বাতিলের পরও বিপুল সম্পত্তি দখলের মহাউৎসবে মেতেছে ভূমি দস্যূরা। হাজীগঞ্জ উপজেলার পৌরসভার মকিমাবাদ রাঢ়ী বাড়ির ফয়েজ গংদের পূর্ববর্তী বংশধর কমর উদ্দিন রাঢ়ী। তৎকালীন জমিদার সুরেন্দ্র নারায়ণগংদের থেকে রায়তি স্বত্তে¡ ১৯২১ সালে কোর্ট রেজিস্ট্রিকৃত দলিলের মাধ্যমে চারটি তফসিলে প্রায় ২৩ একর জায়গার মালিক হন কমর উদ্দিন রাঢ়ী। পরবর্তীতে ১৯৩৮ সালে মকিমাবাদ এলাকার জাহাঙ্গীর বলি, তফুরা বেগম, হাজী ওহেদ আলী ও এমরান মাস্টারদের পূববর্তী বংশধর হায়দার আলী ও ছিদ্দিকুর রহমান গংরা হাইকোর্টে আপিল করলে ১৯৩৯ সালে কমর উদ্দিন রাঢ়ীর নামে আপিলের রায় ও ডিক্রি হয়। ওই সময় কমর উদ্দিন রাঢ়ী ছাহাম, ছিঠা, নক্সা সরজমিনে বুঝিয়ে নেয়ার আগে মারা যান।
১৯৪৮ সালে পুনরায় জাহাঙ্গীর বলি ও এমরান মাস্টার গংদের উত্তরসূরীরা নিজেরাই বাদী-বিবাদী হয়ে বন্টন মামলা ১৬৮ ও ১৬৯/ ১৯৪৮ দায়ের করে। সেটিও ১৯৫১ সালে বাদী-বিবাদীদের বিজ্ঞ আদালত বাতিল করে কমর উদ্দিন রাঢ়ীর জের ওয়ারিশ ফয়েজ গংদের মূল মালিক হিসাবে (বিবাদী হিসাবে) পক্ষভুক্ত করে মালিকানা স্বীকৃতি দেয়। ওই মামলায়ও ফয়েজ গংদের পক্ষে ১৯৫৩ সালে প্রাথমিক ডিক্রিও রায় হয়।
১৯৫৮ সালে আপিল বেআইনি ঘোষণা (বাতিল) করে নি¤œ আদালতের ডিক্রি আদেশও রায় বহাল রাখে। দীর্ঘ বছর পর ২০০৫ সালে পুনরায় বাদী পক্ষ অর্থাৎ তফুরা বেগম ও হাজী অহেদ আলী গংরা আবার নিজেরাই বাদী-বিবাদী সেজে বন্টন মামলা ০৫/২০০৫ পরিচালনা করতে আদালতে যান। ২০১৩ আদালত চাটু-কারীতা বুঝতে পেরে মামলাটি খারিজ করে দেন।
এ ব্যাপারে বাদীপক্ষের জাহাঙ্গীর বলি বলেন, তারা কি সম্পত্তি পাবে তা আমার জানা নেই। তারা মাঝে মাঝে আমাদের হয়রানি করে আসছে। কিসের আপিলের রায় তারা পেয়েছে তা দেখাতে পারেনি।
বিবাদী পক্ষের ফয়েজ গংরা বলেন, দেওয়ানী বন্টন ৫৬/১৯৩৮, ১৬৮ ও ১৬৯/ ১৯৪৮, ১৯৫৩ সালের প্রাথমিক ডিক্রি, ১৯৫৮ সালের আপিলের রায়, দেওয়ানী বন্টন ০৯/১৯৯৮, আপীল ১১৩/২০১২, বন্টন ০৫/২০০৫, বি এস সংশোধনী মামলা ১৭২০/ ২০১৮ সহ সবগুলো মামলার রায় তারা পেয়েছেন। দেওয়ানী বন্টন ১৬৯/১৯৪৮ সালের মামলাটিই বর্তমান বন্টন মামলা ০৬/২০০৫ হিসাবে তাদের পক্ষে ছাহাম মঞ্জুর হয়ে ফাইনাল ডিক্রির জন্য অপেক্ষমান রয়েছে।
ফয়েজ গংরা আরো বলেন, ১৪৫ ধারায় আদালতের রিসিভিং থাকা সত্তে¡ও প্রতিপক্ষরা বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে দিয়ে হুমকি দিচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের সহযোগিতা খুবই প্রয়োজন। রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তিবর্গ এবং স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আল-কাউসারকেও সংযুক্ত করার চেষ্টা করছে।