সম্পাদকীয়
ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর। জাতীয় মাছ ইলিশ। এ মাছ উৎপাদনের ক্ষেত্রে সরকার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। মূল বিষয় হলো ইলিশ সংগ্রহের ক্ষেত্রে যারা সম্পৃক্ত রয়েছে বলতে জেলেদের প্রতি সরকারের সার্বিক গুরুত্ব দিতে হবে এবং বাংলাদেশের জলসীমান্তে অন্যান্য দেশের বলতে সীমান্ত এলাকার জেলেদের কঠিন নজর রাখতে হবে। আমাদের দেশের জেলেরা মাছ ধরবে না ঠিক আছে কিন্তু বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জলসীমানায় অনেক সময় অন্য দেশের জেলেরা মাছ ধরে নিয়ে যায়। মা ইলিশ রক্ষা করতে সরকারের পদক্ষেপ প্রশংসনীয় হলেও মৎস্য আহরণের সাথে সম্পৃক্ত জেলেদের যথোপযুক্ত কর্মসংস্থান এবং আর্থিক যোগানের ব্যবস্থা করা জরুরি। জেলেদের জন্য আর্থিক যোগান এবং খন্ডকালীন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা জোড়ালো করলে মা ইলিশ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি পরিলক্ষিত হবে। যার ফলে দেশের ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। যাদের মাধ্যমে ইলিশ সংগ্রহ করা হয় তারা যদি জীবনের চাহিদা সম্পন্ন আর্থিক যোগান বা কর্মসংস্থানের যোগান না পায় তাহলে মৎস্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে যে সকল বাহিনী নিয়োজিত থাকে তারা এবং মৎস্য আয়নকারী জেলেরা লুকোচুরি খেলায় মত্ত থাকবে। ফলে মা ইলিশ সংরক্ষণের এবং ইলিশ উৎপাদনের প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। ৮ অক্টোবর দৈনিক শপথ পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে ডিম ছাড়ার সুযোগ পেলে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলেছেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। এখন ডিম ছাড়ার মৌসুম গভীর সমুদ্র থেকে ডিম ছাড়ার জন্য মা ইলিশ নদী কেন্দ্রীক গভীর জলে আসতে থাকবে। এ অবস্থায় মা ইলিশ আটকা পড়লে মাছের উৎপাদন কমে যাবে এটাই স্বাভাবিক। তাই দেশীয় জেলেদের উপযুক্ত আর্থিক যোগান এবং খন্ডকালীন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা এছাড়াও সীমান্তবর্তী জলসীমানায় অন্য দেশীয় জেলেদের থেকে বাংলাদেশের আন্ত সীমানায় ইলিশ নিধনের পথ বন্ধ করতে হবে। তবেই ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে সচেতন মহলের বিশ্বাস।