স্টাফ রিপোর্টার:
চাঁদপুর আল মানার হাসপাতালে সঠিকভাবে বর্জ্য অপসারণ না করায় সোমবার ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালনা করেছে। এসময় এ বেসরকারি হাসপতাল কর্তৃপক্ষকে চার হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া একইদিন শহরের ওর্য়ালেছ বাজারে অভিযান চালিয়ে ১শ ৬৮ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়েছে। এসময় তিশা স্টোরের মালিককে ২হাজার টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়। এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবিদা সিফাত। চাঁদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এ অভিযান পরিচনালা করা হয়।
জানা যায়, চাঁদপুর পৌরসভার মিশন রোডে অবস্থিত চাঁদপুর আল মানার হাসপাতালে পরিবেশগত ছাড়পত্রের শর্ত মোতাবেক ঢাকনাযুক্ত বিন না থাকা, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, বর্জ্য অপসারণের রেজিস্ট্রার না থাকাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৪,০০০/- (চার হাজার) টাকা জরিমানা তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে তাদেরকে পরিবেশগত ছাড়পত্রের শর্ত অনুযায়ী বর্জ্য অপসারনসহ অন্যান্য বিষয়সমূহ মেনে চলার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। এছাড়া ভবিষ্যতে একই অপরাধ করা হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে সতর্ক করা হয়।
এর আগে সকালে চাঁদপুর পৌরসভার ওয়ারলেস বাজার এলাকার মেসার্স তিশা স্টোরে অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ১৬৮ (একশত আটষট্টি) কেজি পলিথিন শপিং ব্যাগ জব্দ করা হয়। সেসময় প্রতিষ্ঠানটির মালিক নাজিব হোসেনকে ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা জরিমানা তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর, চাঁদপুর-এর উপ-পরিচালক এ.এইচ.এম. রাসেদ জানান, চাঁদপুর পৌরসভার মিশন রোডে অবস্থিত চাঁদপুর আল মানার হাসপাতালে অপরিচ্ছন্নভাবে বর্জ্য অপসারনের বিরুদ্ধে ও ওয়ারলেস বাজার এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় আনুমানিক ১৬৮ (একশত আটষট্টি) কেজি নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগ জব্দসহ সর্বমোট ৬,০০০/- (ছয় হাজার) টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। জব্দকৃত পলিথিন শপিং ব্যাগ বিধিসম্মতভাবে ডিসপোজালের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরে হস্তান্তর করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
মোবাইল কোর্টে পরিচালনার সময় ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর চাঁদপুর-এর পরিদর্শক উত্তম কুমার, নমুনা সংগ্রহকারী মোঃ মোবারক হোসেনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।