সম্পাদকীয়
মৃত্যুর বিষয়টা এখন মানুষের কাছে একেবারেই সহজ রূপে ধরা দিয়েছে। স্বাভাবিক মৃত্যু মানুষকে মেনে নিতে হয়। আর মেনে নিয়েই গোটা পৃথিবীর মানুষ চলছে। সমগ্র পৃথিবীতে স্বাভাবিক মৃত্যুতে মানুষ যে হারে হয় সেটা নিয়ে কোন আলোচনা না থাকলেও প্রতিক্রিয়া না থাকলেও কিন্তু অস্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে মানুষের মনোভাব মানুষের চিন্তা চেতনায় কম্পন সৃষ্টি করে। এখন অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটনা ঘটানো যেন একটা মামুলি ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন কোন না কোন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে এরকম হত্যাকান্ড। মানুষ মানুষকে মানুষ আর ভাবছে না মানুষ এখন দানবের চেয়েও খারাপ হয়ে যাচ্ছে। বনের হিংস্র জানোয়ার যেমন বিবেকহীনতা বুদ্ধির অভাবে যে কোন প্রাণীকে যেকোনো মুহূর্তে খাবার হিসেবে নিয়ে নেয় তেমনি এখন মানুষ তার ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল ব্যক্তিগত মানসিকতা ব্যক্তিগত চিন্তাধারাকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। কখন কাকে কিভাবে হত্যা করার দরকার কিভাবে হত্যা করতে হবে সেই সমন্ত পরিকল্পনা যেন এখন নিত্যদিনের মোবাইল ব্যবহারের মতো হয়ে যাচ্ছে। ২৩ ফেব্রæয়ারি দৈনিক শপথ পত্রিকায় প্রকাশ ‘মতলবে স্বর্ণ ব্যবসায়ী কে জবাই করে হত্যা’ চলে গেলেন না ফেরার দেশে। যাকে জোর করে পাঠানো হয়েছে। এটাই কালের সাক্ষী বর্তমান সময়ের ফলাফল। প্রতিনিয়ত মানুষ আত্ম অফ উন্নয়নের জন্য আত্ম অবনতির কারণে যে কাউকে যেকোনো ভাবে মানুষ হত্যা করে ফেলছে। তাহলে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা আইন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দেশের প্রশাসন যারপরনাই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য চেষ্টা চালালেও কোনভাবেই যেন তা সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। পরিবারের সর্দার চলে গেল। হাজার চেষ্টা করলেও তাকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব না। সঠিক বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রলম্বিত হলে এমনকি বিচারের জন্য দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে তাদের পরিবারের আর কখনো পরিচ্ছন্ন পরিস্থিতি আসতে পারে না। এমন দুর্বিসহ যন্ত্রনা এমন দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে এমন অনেক পরিবার বিরাজ করছে সমগ্র দেশ। এমন অনেক ঘটনা বিদ্যমান এযাবৎকাল পর্যন্ত সমস্ত অনৈতিক হত্যার দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত সুষ্ঠু বিচার হলে সমাজের এমন পরিণতিতে আসতে পারতো না। এমন লোমহর্ষক ঘটনায় দেশের সুমনা মানুষের দাবি যেকোনো হত্যাকান্ড দ্রুত বিচারব্যবস্থার ফলপ্রসূ দৃশ্যমান সমাধান চায়।