রতন কুমার মজুমদার
নীরবে নিভৃতে যিনি চাঁদপুরের মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন। তিনি আর কেউ নন মেঘনা পাড়ের কন্যা, চাঁদপুরের মানুষের ভরসারস্থল ডাঃ দীপু মনি এমপি। দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকেই তিনি অত্যন্ত সতকর্তার সাথে অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে চলেছেন। স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং দলীয় কর্মীদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে সর্বস্তরের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন অভিভাবকের মত।
কর্মীদের মাধ্যমে ইউনিয়ন এবং পৌরসভার ওয়ার্ডভিত্তিক তালিকা প্রস্তুত করে বাড়ি বাড়ি সহায়তা সামগ্রী পেঁৗছে দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। চাঁদপুর সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন এবং হাইমচর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডে এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। চাঁদপুর পৌরসভায় ত্রিশ হাজার ৬৬ পরিবার এবং সদর উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের ৪৫ হাজার পরিবারকে সহায়তা সামগ্রী পেঁৗছে দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। ত্রাণ সামগ্রীর পাশাপাশি নগদ প্রায় ১০ লাখ টাকা প্রদান করেন। বাদ যয়নি নৌকার মাঝি, বেদে সমপ্রদায় এবং হরিজন সমপ্রদায়ও।
যে সমস্ত সামগ্রী প্রদান করা হচ্ছে তার মধ্যে চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, আলু, ছোলা, লবণ, চিনি, চিড়া, মুড়ি, খেজুর এবং শিশুখাদ্য রয়েছে।
এছড়া তিনি মৃত মুসলিম এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের যারা দাফন/সৎকার করেন তাদেরকে সুরক্ষা পোশাক প্রদান করেন। সুরক্ষা পোশাক প্রদান করেন পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের।
চাঁদপুর-হাইমচরের যে সকল ছাত্র-ছাত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছেন, এদের মধ্যে যারা টিউশন করে নিজের খরচ চালায় এই সংকটময় মুহূর্তে এমন শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীকে মোবাইলে বিকাশের মাধ্যমে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
ডাঃ দীপু মনির নির্দেশে জেলায় ছাত্রলীগের কর্মীরা কৃষকদের ধান কেটে ঘরে তুলে দেয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করে কাজ করে চলেছে।
লেখক : অধ্যক্ষ, পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজ।