সম্পাদকীয়:
দেশে ২০২০ এর ৮ মার্চ করোনা সংক্রামণ ধরা পড়ে। তখন থেকে শুরু হয় ‘প্যানিক বায়িং’। সেই থেকেই বাড়তে থাকে দ্রব্যমূল্যের দাম। শুধু যে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে, তা নয়। বেড়েছে নিত্যব্যবহার্য বিভিন্ন পণ্যের দাম। বাজারে ঢুকতেই ভয় পাচ্ছেন স্বল্প আয়ের মানুষ। নিত্যপণ্যের আকাশছোঁয়া দামে জীবনযাত্রা নির্বাহ করা হয়ে উঠেছে দুষ্কর। নিন্মবিত্ত ও মধ্যবিত্তের দশা করুণ। নিত্যপণ্যের বাজারে এক ধরণের অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। চাল, ডাল, তেল, চিনি, ডিম, মাছ, মাংসের মতো পণ্যের দাম আগে থেকেই চড়া। শীতের এই ভরা মৌসুমেও শাকসবজির দাম নি: আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে। শুধু কাঁচাবাজারই কেন, পোশাক-পরিচ্ছদ, টয়লেট্রিজ ও গৃহস্থালি পণ্য, ওষুধপত্র, নির্মাণসামগ্রী, রান্নার গ্যাসসহ প্রায় সব জিনিসের দাম বেড়েছে। মানুষের যাতায়াত খরচও বেড়েছে আগের তুলনায়। সামগ্রিকভাবে বাড়তি খরচের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। আগে থেকে স্থিতিশীলতা হারাতে বসা বাজারকে আরও নতুনভাবে অস্থিতিশীল করে তোলার অণুঘটক হিসেবে কাজ করছে মূলত ওমিক্রন। দিন দিন ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় এর বিস্তার রোধে সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এতে আবারও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ধীর হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে রাখা জরুরি বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাঁদের মতে, পণ্য ও সেবামূল্য বেড়ে যাওয়ায় মানুষের জীবনযাপনের ব্যয় আগে থেকেই বেড়ে গেছে। নতুন করে কাজের সুযোগ সংকুচিত হলে শ্রমজীবী মানুষ আবার বড় ধরনের সংকটে পড়বে। সরকারের উচিত হবে সাধারণ মানুষের আয়ে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে এমন উদ্যোগ নেওয়া। ওএমএসের মতো সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাড়ানোর পরামর্শও দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে পাশাপাশি প্রয়োজন বাজার মনিটরিং। ব্যবসায়ীদের খেয়ালখুশি মতো পণ্যের দাম নির্ধারণও বাজারকে অস্থিতিশীল করে তোলে। অথচ সেই বাজার মনিটরিং হতে দেখা যায় না, তাই ব্যবসায়ীরা দামের উঠানামা করেন নিজের ইচ্ছামতো। এতে প্রভাব সাধারণ ক্রেতাদের উপর। এ বিষয়ে দৈনিক শপথ গতকাল ২৯ জানুয়ারি প্রথম পাতা ও শেষ পাতায় দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
আজ,
মঙ্গলবার , ২৮ মার্চ, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ , ১৪ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।