তুহিন ফয়েজ:
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নিহত তরুন সেনা সদস্য শাহিন আলম (২২) মরদেহ রোববার মতলব উত্তরের মানিকের কান্দি পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে শুক্রবার ৭দিনের ছুটি নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। পরে শনিবার ভোর সাড়ে তিনটায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাদানীনগর এলাকায় আল আমিন গার্মেন্টসের সামনে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন তিনি। এসময় ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত করলে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ১৬ জানুয়ারি বেলা ১২টায় সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার যোগে নিহত সেনা সদস্য শাহীন আলমের মরদেহ মতলব উত্তর উপজেলা কমপ্লেক্স মাঠে অবতরণ করে। পরে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ইমামপুর পল্লীমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। সেখানে সেনা সদস্যরা গার্ড অব অনার শেষে বেলা সাড়ে ১২টায় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১টায় পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহের দাফন সম্পন্ন হয়।
নিহত সেনা সদস্য শাহিন আলম মতলব উত্তরের মানিকের কান্দি গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে। ৫ ভাই ২ বোনের মধ্যে শাহিন ৬ষ্ঠ। ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগ তিনি।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, শাহিন বরিশালে সেনাবাহিনীর সৈনিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ৭দিনের ছুটি নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে। তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হলে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থা মারা যান।
নিহত সেনা সদস্য শাহীন আলমের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম জানান, শনিবার ভোর সাড়ে তিনটায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাদানীনগর এলাকায় আল আমিন গার্মেন্টসের সামনে ঘটনাটি ঘটে। সে বরিশালে সেনাবাহিনীতে সৈনিক হিসেবে কর্মরত। সাত দিনের ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসার পথে ছিনতাইকারিদের কবলে পড়েন। ছিনতাইকারীরা ছুরিকাঘাত করার খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।