সুমন আহমেদ:
মতলব উত্তর উপজেলায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে করোনার টিকায় টাকা নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হলেও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হয়নি। বিষয়টি ইতোমধ্যে সর্বমহলে জানাজানি হলেও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের নিরব ভূমিকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে সচেতন মহলে।
সরকারের এমন গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর বিষয় থেকে টাকা উত্তোলনের বিষয়টি ইতোমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। তাছাড়া সাংবাদিকরা বিষয়টি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করা ও অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে টাকা উত্তোলনের বিষয়টি স্বীকার করা সত্তে¡ও কেন এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল কায়ুম খানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, অভিযোগের পর আমি অভিযুক্ত ছেংগারচর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেনজির আহমেদ মুন্সির সাথে কথা বলি। তিনি সাথে সাথে আমাকে জানান এখন থেকে আর টাকা নিবেন না। উল্লেখ্য, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের এই বক্তব্যের মধ্য দিয়েই উনার টাকা উত্তোলন বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা তা জানতে চাইলে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জানান, কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। কারণ অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আমাকে জানিয়েছে এখন থেকে আর টাকা নিবে না।
উল্লেখ্য, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার অভিযুক্ত শিক্ষককে এ বিষয়ে ফোন করার পূর্বেই ওই স্কুলের ১ হাজার ১০০ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৯ শতাধিক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা উত্তোলন ও তাদের টিকা দেয়া সম্পন্ন হয়েছিল।
করোনার টিকার বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের থেকে ছেংগারচর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক টাকা উত্তোলন করেছে এমন অভিযোগ প্রমানিত হওয়ার ৯দিন অতিবাহিত হবার পরেও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস কোন ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগও নেয়নি এমন অভিযোগের বিষয়ে চাঁদপুর জেলার (ভারপ্রাপ্ত) শিক্ষা অফিসার আজিজুল হকের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের থেকে টাকা নিয়ে থাকলে তা ঠিক করেনি এবং সে টাকা ফেরত দিতে হবে। আর এ বিষয়ে আমি এখনই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সাথে কথা বলছি।