সুমন আহমেদ:
মতলব উত্তরে কলাকান্দা ইউপির ৩নং ইউপি সদস্য মেহেদী হাসানের পিতা হাজী সিরাজুল হক বেপারিকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তার পরিবার। অপরদিকে পুলিশ বলছে ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলেই সত্য বেরিয়ে আসবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ১০ এপ্রিল রোববার বিকেলে ইউপি সদস্য মেহেদী হাসানের পিতা হাজী সিরাজুল হক বেপারি আছর নামাজের পূর্ব প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য মসজিদের উদ্দেশ্যে রওনা হয়, পথিমধ্যে একই গ্রামের আরিফ হোসেন ছৈয়ালসহ আরো কয়েকজন মিলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সিরাজুল হক বেপারিকে একা পেয়ে মারধর করে। পরে তার ডাক চিৎকারে এলাকাবাসীরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ভাই মোহাম্মদ আলী বেপারী বলেন, আমার ভাইকে একা পেয়ে আরিফ ছৈয়াল ও তার লোকজন পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।
নিহতের ছেলে ইউপি সদস্য মেহেদী হাসান বলেন, মোহনপুরের কাজী মতিনের প্রত্যক্ষ ইন্দনে আরিফ ছৈয়াল, লিটন ভূইয়া, গজল, গিয়াস উদ্দিন, শাওন, গজনসহ আরো কয়েকজন মিলে আমার বাবাকে হত্যা করেছে।
কলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোবহান সরকার সুভা বলেন, বিষয়টি আমি থানা পুলিশকে অবহিত করেছিলাম। পুলিশ কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা এ হত্যাকান্ড করতে সাহস পেয়েছে। এ খবর পেয়ে মতলব উত্তর থানার এসআই মিজানুর রহমান ও এসআই রমিজ উদ্দিন হাসপাতালে আসে।
এ বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মুফাট বলেন, ময়না তদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না স্বাভাবিক মৃত্যু না হত্যা।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহাজাহান কামাল বলেন, হত্যা নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু তা আমরা নিশ্চিত না। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে প্রেরণ করা হবে। পরে রির্পোট অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হেহেদী হাসান ও আরিফ ছৈয়ালের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ঐ নির্বাচন কলাকান্দা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে মেহেদী হাসান ও আরিফ ছৈয়াল প্রতিদ্ব›দ্বীতা করে। এতে মেহেদী হাসান ইউপি সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়। নির্বাচনে জয়লাভ করার কারণে আরিফ ছৈয়াল তা সহজভাবে মেনে নিতে পাড়েনি। তাই মেহেদীকে বিভিন্নভাবে ঘায়েল করার জন্য চেষ্টা করেন তিনি।