অমরেশ দত্ত জয় :
চাঁদপুরে গ্রাম পর্যায়ে করোনা ভাইরাসের নমুনা কালেকশনের জন্য ব্যবহৃত হতে পারে জেলার ২শ ২১টি কমিউনিটি ক্লিনিক। শুধুমাত্র ভালো প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই এই ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কেননা গ্রামপর্যায়ে চাঁদপুর জেলায় ২শ ২১টি কমিউনিটি ক্লিনিকে দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি এসব কমিউনিটি ক্লিনিকে রাখা হচ্ছে ৩২ রকমের ঔষুধ। সরকার কর্তৃক বিনামূল্যে বিতরণের এ ঔষুধ ও কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যসেবা পেয়ে চাঁদপুরবাসী উপকৃত হচ্ছে। চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সরকারি হাসপাতালগুলোর পাশাপাশি কমিউনিটি ক্লিনিক দিয়েও সরকার স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে চায়। তাই দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর উন্নয়নে সরকার বেশ মনোযোগী হয়েছে। এখন প্রায়ই দেখা যাচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে গর্ভবতি মায়েদের নরমাল ডেলিভারিতেও বাচ্চা প্রসব করানো হচ্ছে। যেজন্য বলা যায় সরকারি স্বাস্থ্যসেবা গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে গেছে। এদিকে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, চাঁদপুর সদরে ৪৪, ফরিদগঞ্জে ৩৭, কচুয়ায় ৩৫, মতলব উত্তরে ৩৩, শাহরাস্তিতে ২৪, হাজীগঞ্জে ১৯, মতলব দক্ষিণে ১৮ এবং হাইমচরে ১১টিসহ মোট ২’শ ২১ টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে। পাশাপাশি হাজীগঞ্জে ২টি এবং শাহারাস্তিতে আরো ১টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মানাধীন রয়েছে। সেই সাথে শাহারাস্তিতে আরো ২টি এবং ফরিদগঞ্জে আরো ১টি কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য নতুন করে স্থান অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কিন্তু নির্মাণ কাজ এখনো শুরু হয়নি। তবে কিউনিটি ক্লিনিকের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন হেলথ প্রোভাইডার জানান, এখানে যে জনবল তা দিয়ে করোনার নমুনা সংগ্রহ করা কোনো ভাবেই সম্ভব নয়। সিএইচসিপি তো প্যাথলজি টেকনিশিয়ান নয়। আমরা জেনারেল শাখায় পড়ালেখা করে এ চাকুরীতে এসেছি। মূলত এরা মেডিক্যাল পার্সন না। তাহলে নন-মেডিক্যাল পার্সন দিয়ে কিভাবে নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব? প্রশিক্ষণ দিয়ে করার সম্ভবনা তৈরি হতে পারে। তবে যেখানে উন্নত বিশ্বের চিকিৎসকরা পর্যন্ত এর থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পাচ্ছে না। সেখানে আমাদের মতো নন-ট্যাকনিশিয়ান দিয়ে কিভাবে চিন্তা করে বুঝে আসছে না। তাছাড়া আমাদের জন্যে বিষয়টি ঝুঁকির মাত্রা বেড়ে যাবে। যদিও পিপিই সরবরাহ করার চিন্তা ভাবনা চলছে সরকার। তাছাড়া এ পদে বেশির ভাগই জেনারেলের শিক্ষার্থী নিয়োগ দিয়েছে। কমিউনিটি হেল কেয়ায়ার প্রোভডার প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে।
১২ই এপ্রিল রবিবার এ ব্যাপারে চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মোঃ শাখাওয়াত উল্লাহ জানান, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো নতুনরূপে নির্মাণ করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। যেখানে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো হবে ৪কক্ষ বিশিষ্ট। সেইগুলোতে ১টি নরমাল ডেলিভারি, ১টি সিএইচসিপি, ১টি হেল্থ এ্যাসিস্ট্যান্ড এবং ১টি এফডব্লিউসি বসার জন্য কক্ষ থাকবে। তবে এই কক্ষগুলোর মধ্যে সপ্তাহে ৩দিন করে বসবে এফডব্লিউসি এবং সিএইচসিপি। আর বাকি ৩দিন তারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করবে। তিনি করোনার নমুনা কালেকশনে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো ব্যবহার করা প্রসঙ্গে জানান, এই মহামারী করোনার সেম্পল কালেকশনে এখনো আমরা কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরতদের কোন প্রকার ট্রেনিং দেইনি। তবে আমাদের কিছু পরিকল্পনা রয়েছে ওদেরকে ট্রেনিং দেওয়ার ব্যাপারে। ট্রেনিং শেষ করতে পারলেই ওরা গ্রাম পর্যায়ের মানুষের করোনার সেম্পল কালেশনে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারবে।