রিয়াজ শাওন:

হাজীগঞ্জ বাজারের বিজনেস পার্ক ট্রেড সেন্টারে অবস্থিত মডেল হসপিটালে সিজারের সময় নবজাতকের পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ডাঃ রনি চন্দ্র মজুমদার ও ডাঃ সাদিয়া আফরিনের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ মডেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রনি চন্দ্র মজুমদার, ডা. সাদিয়া আফরিন ও অজ্ঞাত ৩-৪ জনকে বিবাদী করে ভুক্তভোগী ওই প্রসূতির স্বামী মো. ইউসুফ মিয়া বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ এপ্রিল বিকালে হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড টোরাগরের হোসেন উদ্দিন হাজী বাড়ির বাসিন্দা মো. ইউসুফ মিয়ার গর্ভবতী স্ত্রী নাজমা আক্তারকে সন্তান প্রসবের জন্য হাজীগঞ্জ মডেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ।
ওই প্রসূতির সিজার করান মডেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রনি চন্দ্র মজুমদার ও ডা. সাদিয়া আফরিন। সিজারে ইউসুফ-নাজমা দম্পতির কোলে আসে পুত্র সন্তান।
প্রসূতি নাজমা আক্তারের স্বামী ইউসুফ মিয়া এই সিজার ও চিকিৎসার আনুষঙ্গিক খরচ বাবাদ ৩০ হাজার টাকা বিল পরিশোধ করে বাড়ি চলে আসেন।
এরপর গত ২৬ এপ্রিল নবজাতকের বাম পায়ে সমস্যা দেখা দিলে এক্স-রে করানো হয়। তখন নবজাতকের বাম পা’য়ের হাটুর উপরের হাড় ভাঙা ধরা পড়ে।
অভিযোগে প্রসূতি নাজমা আক্তারের বরাত দিয়ে বলা হয়, সিজারের সময় ডাক্তাররা ভুল করে হাটুর উপরের অংশ ধরে টানা-হেচঁড়া করার সময় হাড় ভেঙে যায়।
পরে এ বিষয়ে চিকিৎসাকদের জানানো হলে কোনো উত্তর না পেয়ে নবজাতকের বাবা ইউসুফ মিয়া হাজীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তারা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. রনি চন্দ্র মজুমদার বলেন, আমি কোন ধরনের সিজার করি না। আমি সিজারের কাজের সাথে সম্পৃক্তই নেই। আর সিজার কে করিয়েছে তিনি জানেন না বলে দাবি করেছেন।
অভিযুক্ত আরেক চিকিৎসক ডা. সাদিয়া আফরিন হাসপাতালে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে চেম্বার থেকে পালিয়ে যান।
অভিযোগের বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তা উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।
আর হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম মাওলা নাঈম জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।