নজরুল ইসলাম আতিক:
‘বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের নতুন বই সময় মত পাওয়া যাবে আশা করছি’ বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। শনিবার দুপুরে চাঁদপুর শহরের বাবুরহাট এলাকায় সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি পাঠ্যবইয়ে ভুল নিয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভুলগুলো যেমন ছিল সেগুলো একেবারে শুধরে ফেলা কোন সমস্যার বিষয় না। যিনি মামলা করেছেন তিনি হয়তো একগুচ্ছ শব্দের কথা বলেছে যেগুলো শুদ্ধ করা উচিত ছিল। তবে যে শব্দগুলো ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো যে একেবারেই ভুল তা নয়। কিন্তু তারপরেও যদি সংশোধনের সুযোগ থাকলে অবশ্যই সেগুলো সংশোধন করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে অনেক চাপের মধ্যে আমাদের বইগুলো তৈরি করতে হয়। তারপরও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। যেন নতুন বইতে কোনো ভুলভ্রান্তি না থাকে। এরপরও যদি কোথাও বা কোন জায়গায় অনিচ্ছাকৃত কোন ভুল থেকে যায় তাহলে সেগুলো অবশ্যই সংশোধন করা হবে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে বাংলাদেশ আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপির সবসময়ই একটি নেতিবাচক ভূমিকা থাকে। দ্বিচারিতা তাদের চরিত্রের অংশ। বিএনপি সবসময়ই মুখে এক কথা বলে এবং কাজে অন্য কিছু করে। এটি নতুন কিছু নয়। দেশে একটি নির্বাচন কমিশন রয়েছে এবং সেটি স্বাধীন। স্বাধীন এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে যেভাবে নির্বাচন হওয়ার কথা ঠিক সেভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
দীপু মনি বলেন, বিএনপি ইতিহাস বিকৃতি, মানুষ হত্যাসহ যত ধরনের অপকর্ম আছে তার সবকিছুতেই তারা জড়িত থাকে। তারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে এবং সেটা অপরাজনীতি। এজন্যই নির্বাচনের বিষয়ে সব সময় তাদের একটি নেতিবাচক ভূমিকা থাকে। তারা একদিকে বলছে নির্বাচনে অংশ নেবে না আর অন্যদিকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তাদের কেউ না কেউ অংশ নিচ্ছে।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগে নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হতো না। তখন অনেক প্রার্থী থাকতেন। এখন দলীয় প্রতীক হওয়ার পরে দলের ভেতর থেকে বিদ্রোহী যাতে না হয় সেজন্য সাংগঠনিকভাবে নানান শৃঙ্খলার ব্যবস্থা নেয়া হয়। তারপরও কোথাও কোথাও হয়তো দলীয় পদ নেই কিন্তু সমর্থক আছেন অথবা দলীয় পদে আছেন এমন বিদ্রোহী প্রার্থী থাকে। আমরা সাংগঠনিকভাবে সেগুলোরও ব্যবস্থা করছি। দু’একটি জায়গায় হয়তো বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। তবে আমি মনে করি না এটি ব্যাপকভাবে রাজনীতিতে কোন খারাপ প্রভাব ফেলবে। তবে আমরা এই বিষয়টিকে সাংগঠনিকভাবে আরো শক্তভাবে দেখার চেষ্টা করছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটোয়ারী, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম রোমান, সদর উপজেলা পরিষদের নিবার্হী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ ও ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল কালাম রুশদি ও মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ বরকন্দাজ, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ইউনুস হোসেন বিশ্বাস প্রমুখ।