এইচ.এম নিজাম:
‘নতুন বছর, নতুন দিন, নতুন বইয়ে হোক রঙিন’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা দেশের ন্যায় চাঁদপুরে বই বিতরণ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল (১ জানুয়ারি) রোববার সকালে শহরের হাসান আলী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে জেলায় একযোগে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।
এদিকে বছরের প্রথম দিনেই নতুন বই হাতে পেয়ে আনন্দে উচ্ছ¡সিত হয়ে ওঠে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। নতুন বইয়ের গন্ধে তাদের হাস্যজ্জল চোখে-মুখে ছিলো জীবনের লক্ষ্যপূরণে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, আজকে যারা ক্ষুদে শিক্ষার্থী, আগামী দিনে তারাই দেশের নেতৃত্ব দিবে। তাই এ ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের দক্ষ নাগরিক হিসেবে গেড়ে তোলা আমাদের সবার দায়িত্ব। নিজেদের সফল মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তাদের ভেতরে আত্মবিশ্বাসকে জাগিয়ে তুলতে হবে। এ আত্মবিশ্বাস তৈরি করার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের যেমন ভূমিকা রয়েছে, তেমনি অভিভাবকদেরও বড় ভূমিকা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এবছর সারা দেশে ৪ কোটি ৯লাখ ১৫ হাজার শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে নতুন বই দেয়া হচ্ছে। নতুন প্রজন্মকে সোনার বাংলার নেতৃত্ব দিতে সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে বর্তমান সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। তাই বর্তমানে সরকারের কাছে শিক্ষার উন্নয়নের প্রাধান্য সব থেকে বেশি। আর সে কথা চিন্তা করেই, বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হচ্ছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা মেহের ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোছাম্মৎ রাশেদ আক্তার, চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ, হাসান আলী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাসান ইমাম বাদশা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসমাত আরা সাথী বন্যার স ালনায় এসময় চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান শোভন, চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াস সহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রাথমিক ও মাথ্যমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে চাঁদপুরে মাধ্যমিক ও প্রাথমিকে সর্বমোট ৬৩ লাখ ৫২ হাজার কপি বই বিতরণ করা হচ্ছে।
এরমধ্যে মাধ্যমিক, দাখিল, ইবতেদায়ি, এসএসসি ভোকেশনাল ও ইংরেজি ভার্সনে জেলার ৮ উপজেলার ২শ ৯৩টি সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলের জন্যে ৪০ লাখ ৮১ হাজার ৮শ ৩০ কপি বইয়ের চাহিদা প্রেরণ করা হয়েছে। অপরদিকে প্রাথমিকে ৮ উপজেলায় ১ হাজার ১শ ৫৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ১২ লাখ ৭১ হাজার ৩শ ১৬ কপি বইয়ের চাহিদা প্রেরণ করা হয়েছে।