সম্পাদকীয়
ধর্ষণ ঘটনায় ধর্ষিতা মন জানে ধর্ষণের কি যন্ত্রণা এই বিষফোঁড়াটা সমগ্র জাতিকে ধ্বংস করে ফেলেছে। মাদকের ব্যবহার দ্রæত ছড়িয়ে পড়ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। যুব সমাজের মাঝে মাদকের প্রতি আগ্রহ মাদকের প্রাপ্তি মাদকে সয়লাব এখন নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের আনাচে-কানাচে অলিতে গলিতে গ্রাম গঞ্জের পরোতে পরোতে দিনে দিনে মাদকের ভয়াবহতা চলছে। যুবসমাজকে মাদকতার ছোবল থেকে রক্ষা না করতে পারলে দেশের জনশক্তির বেশির ভাগেই ধ্বংসের মুখে পতিত হবে। ২১ এপ্রিল দৈনিক শপথ পত্রিকায় ধর্ষণের কয়েকটা খবর প্রকাশ করা হয়েছে। মানুষের মাঝে মনুষ্যত্ববোধ অসুস্থ ওদের চেয়েও নিকৃষ্ট হয়ে পড়েছে দিনে দিনে। দেশের আইন প্রশাসন যত তৎপর হয়ে মাদক নির্মূল এবং ধর্ষণের ব্যাপকতা ঠেকাতে কার্যক্রম পরিচালনা করছে মাদক কারবারি এবং ধর্ষণকারীরা তৎপর হয়ে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় মাদকের এবং ধর্ষণের ব্যাপকতা সরাবার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে চলছে। যদিও প্রশাসন এ ব্যাপারে একটুও ছাড়তে নারাজ না। কিন্তু এরপরও দেশের মাদক সমস্যা এবং ধর্ষণ সমস্যা যেন কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না। মাদক এবং ধর্ষণ নির্মূলে পরিবারের সচেতন ও তার গুরুত্ব হীনতা প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে। ধর্ষণ নিয়ে এখানে প্রশাসনের তৎপরতা এবং কার্যকরী ভূমিকা উল্লেখযোগ্যভাবে প্রশংসনীয়। কিন্তু যে হারে মাদক এবং ধর্ষণ বলতো ধর্ষকের সংখ্যা বেড়ে চলছে তাতে দেশের জনবলের মনস্তাত্তি¡ক শক্তি প্রতিনিয়ত ধ্বংসের মুখে পতিত হচ্ছে। এই মাদকের ছোবলে ধর্ষণের দিক থেকে পরিবার সমাজ দেশকে রক্ষা করতে হলে যার যার অবস্থান থেকে প্রশাসনের সহযোগিতামূলক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে মাদক এবং ধর্ষণ নির্মূলে সোচ্চার হওয়া সম্ভব। যদি ব্যক্তি উদ্যোগে যুবসমাজকে মাদকের ছোবল থেকে এবং নারী সংক্রান্ত দর্শন সংক্রান্ত ঘটনাগুলো থেকে মানুষকে রক্ষা করা না যায় তাহলে সমাজের বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ডগুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে থাকবে। দেশের সচেতন মহল এসব বিষয়ে উদ্বিগ্ন ধর্ষণের প্রভাবের কারণে যুব সমাজের মস্তিষ্ক না শুধু যেকোনো বয়সের লোকের ধারা প্রতিনিয়ত অপরাধ প্রবণতা বাসা বাঁধছে। যার ফলে সমাজের মধ্যে অনৈতিক কর্মকান্ডের বিস্তার ঘটতে থাকবে আর এইসব সামাজিক সমস্যার মূলে বিভিন্ন ঘটনার সূত্রপাত একত্রিত হয়ে আছে। সংসার ভেঙে যাওয়া পরিবারের মধ্যে কলহ লেগে থাকা পরিবারের দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে যে কাজ করার দরকার সেই কাজ থেকেও সমস্যার সৃষ্টি হয়ে আসছে। গণমাধ্যম এক্ষেত্রে যথেষ্ট তথ্যবহুল সংবাদপত্রের চেষ্টা করলেও বাস্তবে মাদকের ছোবল ধর্ষণের মতো ঘটনা থেকে সমাজকে রক্ষা করা যাচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে একসময় দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মাঝে ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে তাই অনতিবিলম্বে সরকারের সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর মাদকের করাল গ্রাস থেকে যেকোনো ধরনের নারী সংক্রান্ত ঘটনা থেকে দেশকে সমাজকে রক্ষা করার জোর প্রচেষ্টা চালানো জরুরি হয়ে পড়েছে।