সম্পাদকীয়
সংস্কৃতি আর ধর্ম এই দুটো বিষয়ের মধ্যে ব্যাপক সম্পর্ক রয়েছে। তবে ধর্মের অভ্যন্তরে সংস্কৃতি লালন-পালন হয়ে আসছে। সারা পৃথিবীতে যে যেই ধর্মই পালন করুক না কেন ধর্মের কষ্টিপাথরের ছোঁয়ায় মানুষের সার্বিক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়। যখন মানুষের মধ্যে সহনশীলতা সহমর্মিতা সহযোগিতা ধর্মের আবরণে চলতে থাকে, চলন্ত জীবন ব্যবস্থার মাঝেই মনুষ্য বিবেক বিবেচনা থেকে সংস্কৃতির আবির্ভাব হয়। এবার সেই সংস্কৃতিটা সুস্থ ধারার সুস্থ মানসিকতার সুস্থ সমাজ ব্যবস্থার আবরণে থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে। আর সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে বহুমুখী নেতিবাচক প্রভাব সামাজিক জীবনে পড়লেও ধর্মের আবরণে মানুষের জীবন ব্যবস্থায় তেমন নেতিবাচক প্রভাব পড়ে না। যদিও পৃথিবীতে ধর্মীয় ভিত্তিক জীবন ব্যবস্থা, রাষ্ট্র ব্যবস্থা, সমাজ ব্যবস্থা ভিন্ন খাতে পরিচালনা করা হয় কিছু ব্যতিক্রমের ফলে। সেটা কিন্তু বাস্তবে ধর্মীয় ব্যাপক ব্যাধি নয়। আর সংস্কৃতি মানুষকে যত বেশি নেতিবাচক পরিস্থিতিতে পরিচালনা করে তার পরিমাণ অনুমান করা সহজ নয়। যেকোনো ধর্মীয় কালচারের স্বতন্ত্র নৈতিকতার বাণী রয়েছে। বেশিরভাগ ধর্মই একটি নৈতিক বাণীর উপর প্রতিষ্ঠিত। আর ওই ধর্মীয় আবরণে পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে যে মানুষ রয়েছে, সে তার ধর্মের নৈতিক বাণীটি ধারণ করে থাকে। কিন্তু সংস্কৃতি প্রভাব পরিস্থিতি ব্যক্তিগত জাতি গোষ্ঠীর ব্যক্তি সত্তার উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়। তাহলে পরিশেষে এটাই দাঁড়ালো সংস্কৃতি মানুষকে সর্বাঙ্গীন নৈতিক পরিস্থিতিতে আনতে পারেনা। ধর্মই মানুষকে নৈতিক অবক্ষয় থেকে মুক্তি দিতে পারে। কারণ সময়ের প্রয়োজনে কালে কালে সঠিক ধর্মের নিয়মনীতি সংস্কৃতির আবরণ পরিবর্তনের কারণে ধর্মের পরিবর্তন এসেছে। এরপরেও পৃথিবীতে সর্বশেষ ধর্ম আবির্ভূত হয়েছে মানবতার কল্যাণে। যদিও মানবিক ধর্মনীতিকে কিছু অতি রঞ্জিত চিন্তা ধারার মধ্যে কলুষিত করেছে। বস্তুত সমস্ত ধর্মটাই কলুষিত হয়নি।