সম্পাদকীয়
মানুষ জীবন-জীবিকার তাগিদে নিত্যনৈমত্তিক দ্রব্যাদির উপরেই তাদের জীবন-জীবিকা চলতে থাকে। জীবন জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রত্যেকটি মানুষ একটি কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকে। কাজের উপর ভিত্তি করে তাদের দৈনন্দিন জীবনের যত আয় ব্যয় হয়ে থাকে তা নির্ভর করে থাকে উপার্জিত অর্থের উপর। উপার্জনক্ষম প্রতিটি মানুষই তাদের পরিবার-পরিজনের দায়িত্ব নিয়ে জীবন সংসার পরিচালনা করে আসছে। পরিবারের পরিচালনার দায়িত্বে অনেকেই থাকে আবার একই পরিবারে অনেক উপার্জনক্ষম লোক থাকে যা বলার অপেক্ষা রাখে না। ১৮ ফেব্রæয়ারি দৈনিক শপথ পত্রিকা এ খবর প্রকাশ করেছে ‘দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে চাঁদপুরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ’ নিত্য পণ্যের মধ্যে চাল ডাল তেল আটা ময়দা পেঁয়াজ রসুন শাকসবজি কোনটাই ঊর্ধ্বগতির বাইরে নেই। বাংলাদেশের ইতিহাসে কিছু কিছু দ্রব্যমূল্যের দাম রেকর্ড ভেঙেছে। দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির কারণে জনগণের মধ্যে হতাশা দিন দিন বেড়ে উঠছে। কারণ বেশির ভাগ মানুষের উপার্জন আর ব্যয় দুই দিকে সাথে সাথে উপার্জনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে জনগণের কোনো প্রতিক্রিয়া থাকত না। যদিও দেশের বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া বিভিন্ন প্রকারের সমাবেশ করছে এতে কতটুকু সুফল বয়ে আনবে তা সময় বলে দেবে। কিন্তু সরকারের বহুমুখী পদক্ষেপে জনগণ সুফল পাচ্ছে না। যদি সরকার কার্যক্রম পরিচালনা করে সফলতা পেত তাহলে দ্রব্যমূল্যের মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হতো। তাহলে অতিদ্রæত দ্রব্যমূল্যের দাম জনগণের উপার্জনের উপর ভিত্তি করে সমন্বয় করার জন্য চেষ্টা করতে হবে। দেশের আপামর জনতা মুখ ফুটে কিছু বলতে পারছে না। প্রতিবাদও করতে পারছে না। এটাও বুঝে প্রতিবাদ করে কি হবে দেশের উৎপাদনের ক্ষেত্রে খাদ্য পণ্যের যোগানের ক্ষেত্রে সরকারের প্রচেষ্টা যারপরনাই কিন্তু কেন সরকারের চেষ্টা থাকা সত্ত্বেও জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে? এ বিষয়ে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সচেতন মহলের দাবি।