সম্পাদকীয়
আমি কেন আমাকে চিনতে পারছি না। দেশে জাতি জাতির অস্তিত্ব ভুলতে বসেছি। কেন এমন পরিবেশ পরিস্থিতি বর্তমান দেশে। একটি ভূখÐ স্বাধীন হয় সামগ্রিক সকল শ্রেণির মানুষের একাগ্র প্রতিবাদের মুখে। দেশ স্বাধীন হয়েও যায় স্বাধীনতা আসলেও নৈতিক চিন্তা চেতনার স্বাধীনতা আসেনি কেন। এটাই আমাদের দুর্ভাগ্য বাঙালি জাতি হিসেবে। কারণ বাঙ্গালী জাতি হিসেবে আমরা এই ভূখÐে আমাদের অস্তিত্বের ভেতর থেকে আমরা আমাদেরকে শাসন করা থেকে অভ্যস্ত নই। সবসময় পরমুখাপেক্ষীতার কারণে স্বাধীনতার স্বাদ উপলব্ধি করা সম্ভব হচ্ছে না। স্বাধীনতাকে কেন্দ্র করে জাতি গোষ্ঠীর তাবেদারী এই দেশের অস্তিত্বকে পরাধীনতার বেড়াজালে আটকে রেখেছে। কারো তাবেদারি করার জন্য দেশ স্বাধীন হয়নি। যে যেখান থেকে পেরেছে সেখান থেকেই দেশকে স্বাধীন করার উদ্দেশ্যে জাতিকে দেশকে ভালোবেসে জীবনকে উৎসর্গ করেছে। পরিবারকে উৎসর্গ করেছে সময়কে উৎসর্গ করেছে স্বার্থকে উৎসর্গ করেছে। তাহলে কেন আমরা ব্যক্তি কেন্দ্রিক রাজনীতির পদলেহন করে জীবন পার করবো। হ্যাঁ যার মধ্যে সর্বসময় স্বাধীনচেতা স্বাধীনতার স্বপক্ষীয়তা স্বাধীনতার পরপক্ষীয়তা থেকে মুক্ত থাকবে। স্বাধীনতার সকলের স্বাদ স্বাধীনতার সকলের ইচ্ছা স্বাধীনতার সকলের প্রাপ্তিতে কোন প্রকারের বাধা আসেনি সে ব্যক্তির যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন তার নাম থাকবে তাকে মনে প্রাণে ভালোবেসে যাবো ভালবাসতে থাকবো। এটাই স্বাধীনতার অগ্রনয়কর প্রতি শ্রদ্ধার প্রমাণ দেশকে ভালবাসি দেশের মানুষ ভালোবাসি শ্রেণিবিভেদ মুক্ত সমাজকে ভালবাসি ভালোবাসার জন্য ভালবাসি এই হোক সকলের ভাবনার মূল কেন্দ্র। দেশের মধ্যে আ লিক ভৌগোলিক ব্যাপক পরিবর্তন রয়েছে। এ সকল পরিবর্তন দেশকে কল্যাণ দিয়েছে এসবের মধ্যে কল্যাণও রয়েছে। কিন্তু কিছু মানুষের অহমিকার কারণে সামগ্রিক ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়মের ছাপ দেশের প্রশাসনকে অস্থির করে তুলছে। সাথে সাথে সাধারণ মানুষের ভোগান্তিও কম নেই। এমন অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে ব্যক্তি অভ্যন্তর থেকে শুরু করে সমগ্র জাতির মধ্যে কলহ লেগেই থাকবে।