মেহেদী হাসান দিপু, ঢাকা:

মহামারী (COVID-19) করোনাভাইরাসে বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ হাজার ৭ শত ৩৮ জন। সর্বশেষ পরিস্থিতি অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় সারাদেশে নতুন করে সর্বোচ্চ রোগী সনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬১৭ জন । সর্বশেষ তথ্য পাওয়া পর্যন্ত মোট ৪৩টি ল্যাব হতে আক্রান্ত রোগীদের শনাক্ত করা হয়। প্রতিদিনের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিং এর তথ্য অনুযায়ী ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন ১৬জন এবং সর্বমোট মৃত্যু বরন করেছেন ৩৮৬ জন। তথ্যটি ২০মে (বুধবার) দুপুর আড়াইটার নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
ব্রিফিংয়ে তিনি আরও জানান,মৃত ব্যাক্তিদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ এবং ৩ জন মহিলা । বয়স বিশ্লেষণে জানা যায় ০ থেকে ১০ বছর বয়সের ১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সের ১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের ১ জন,৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের ১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে ৫ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সের মধ্যে ৪ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সের ২ জন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সের ১ জন। মৃত ১৬ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ৫ জন, সিলেট বিভাগের ১ জন এবং রংপুর বিভাগের ৩ জন।
প্রেস ব্রিফিং এর তথ্য অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে
১১ হাজার ৮৩৮ টি এবং পূর্বের কিছু নমুনাসহ মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ১০ হাজার ২০৭ টি। এই পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ২১৪ জন এবং সর্বমোট সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ২ শত ৭জন।
নতুন করে ২৪ ঘন্টায় আইসোলেশনে আনা হয়েছে ৩০০ জন এবং গত ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত সর্বমোট আইসোলেশনে আছেন ৩ হাজার ৮ শত ১৬ জন। এর মধ্যে নতুন করে ছাড় পেয়েছেন ১০০ জন এবং সর্বমোট আইসোলেশনে থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১ হাজার ৮ শত ৯৩ জন।
এক প্রতিক্রিয়ায় অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা বলেন,স্বাস্থ্য অধিদফতরের তত্তাবধানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহের কাজ অব্যাহত আছে এবং হট লাইন নাম্বারের মাধ্যমে জনসাধারণকে স্বাস্থ্য সেবামূলক পরামর্শ দেয়ার কাজ ২৪ ঘন্টা চালু বলে নিশ্চিত করা হয়।
ব্রিফিংয়ের এক পর্যায়ে জানানো হয়, তথ্য বিশ্লেষণ অনুযায়ী সুস্থতার হার ১৯.৪৭ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১.৪৪ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জনসাধারণকে বলা হয় “নিজেদের সুরক্ষা নিজের হাতে এবং বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হতে”। দৈনন্দিন কাজের জন্য সীমিত আকারে দোকানপাট ও বাজার খোলা থাকলেও সকল নিয়ম সমূহ মেনে চলার জন্য এবং সকল স্থানে পর্যাপ্ত সামাজিক দূরত্ব বজায়ে রাখার ব্যাপারে কঠোর ভাবে বলা হয়।