বিশেষ প্রতিনিধি :
তৈবুব আলী বেপারী। বয়স আশি ছুঁইছুঁই। জীবনের শেষ প্রান্তে এসেছেন অনেক ঘাতপ্রতিঘাত এড়িয়ে। জীবন সায়াহ্নে এসে একটা ছোট্ট ঝুঁপড়ি দোকানে বসে চলে জীবন। মতলব উত্তর উপজেলার গইন্নারপাড় গ্রামের মৃত ফসর আলী বেপারী তিন মেয়ে ও পাঁচ ছেলের মধ্যে বেঁচে আছেন শুধু তৈবুব।
সম্প্রতি তার সাথে কথা হয় সাপ্তাহিক শপথ এর এ প্রতিবেদকের সাথে।
স্ত্রী রেনুজা বেগম চার ছেলে পাঁচ মেয়ে নিয়ে তৈয়ুবের সংসার। ছেলে মেয়েদের অনেক আগেই সংসার হয়েছে। বয়সের ভারে শরীর সবসময় ভালো যায় না। তাই প্রতিটি মুর্হূতেই মৃত্যুকেই স্বরণ করেন তিনি।
তৈয়ুব আলী বলেন, বর্তমানে সমাজে যে সমস্যা চলছে, আমাদের সময় তা ছিলো না। ছোট্র দোকানে একযুগ চা পান বিড়ির ব্যবসা করছেন। আগে নারায়নগঞ্জ গিয়ে দুধ বিক্রি করতেন।
দেশের ভালো মন্দ কি বুজমু? লেখা পড়া জানা নাই। আওয়ামীলীগ করি। দেশেতো এখন দলই একটা। এখন আর দল দিয়ে কি করুম। বুড়া মানুষ মিছিল মিটিংয়ে নেয় না। পদপদবি চামু কার কাছে? আমাগো কথা কেউ হুনে?
তিনি আরো বলেন, আগে দেশে ভাতের অভাব ছিলো। এখনতো ভাতের অভাব নাই। একসময় আলু, কাউইনের ভাত খেতাম। এখন আম জাম কাঁঠাল সব কিছুতেই ভেজাল। রাস্তা-ঘাট উন্নত হইছে। দেশ ভালো ভাবেই চলছে।
মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদের প্রবেশ গেইটের তিনটি দোকানের পূর্ব পাশে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সর্বসাকুল্যে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকার মালামাল আছে। এখান থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে চলে টোনাটুনির সংসার।
সরকারের কাছে কোনো দাবি বা চাওয়া নাই বলে তৈয়ুব জানান, সরকার সব ভালোর জন্যে চেষ্টা করতেছে। কিন্তু পারতেছে না।
ভাই-বোন সবাই চির বিদায় নিয়েছে অনেক আগেই। ছোট ভাইটা গত তিনমাস আগে মারা গেছে। সবাই চলে গেছে আমিও এখন মরার অপেক্ষায় প্রহর গুনি।
জীবনে কাউকে ইচ্ছে করে ঠকাইনি। আমাকেও কেউ ঠাকায় নাই। না বুঝে জীবনে অনেক পাপ কামাইছি এখন শেষ ইচ্ছা ‘ইমান মজবুত করে মরতে চাই’। অনেক বেশি টাকা নাই। তাই চোর ডাকাতের ভয়ও নাই। শুধু এখন আখেরাতের হিসাবের ভয়।
আজ,
সোমবার , ২৭ মার্চ, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ , ১৩ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।