আবদুস সালামঃ

মাত্র দুই মাসের মধ্যেই পেনশনের কাগজপত্র হাতে পেলো প্রয়াত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের পরিবার।বুধবার ০২ ডিসেম্ভর ৩টায় ফরিদগঞ্জে উপজেলা শিক্ষা অফিসে চাঁদপুর জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ শাহাবুদ্দিন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তুলে দেন। কাগজপত্র হাতে পেয়ে পেনশনের টাকা তুলতে পারবেন জেনে আনন্দে কেঁদে ফেলেন প্রয়াত শিক্ষকের স্ত্রী। তিনি কৃতজ্ঞতা জানান এ কাজের সাথে সম্পৃক্ত সবাইকে।
জানা যায়, গত ৪ অক্টোবর ফরিদগঞ্জ মডেল প্রাইমারী বিদ্যালয়ের প্রয়াত সহকারী শিক্ষক আবু জাফর মুহাম্মদ মারা যান। এরপর খুব দ্রুততার সময়ে পেনশনের টাকা পেতে কাগজপত্র চালাচালি শুরু হয়। চাঁদপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের আন্তরিকতায় সকল প্রক্রিয়া শেষে আজ বুধবার পেনশনের চুড়ান্ত কাগজপত্র হাতে পায় আবু জাফরের পরিবার।
এ প্রসঙ্গে চাঁদপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শাহাবুদ্দিন জানান, ফরিদগঞ্জ শিক্ষা অফিস থেকে গত ১ডিসেম্বর পেনসনের কাগজ পত্র পৌঁছালে মাত্র এক দিনেই সকল কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ২ডিসেম্বর জেলা হিসাবরক্ষণ ও ফাইন্যান্স অফিসারকে সাথে নিয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসে এসে নিজ হাতে পেনসনের কাগজপত্র তুলে দিতে পেরে নিজের কাছে ভালো লাগছে।
ঝটিকা সফর সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ মনির উজ্জামান খান বলেন,
মূত্যু দাবির বিষয়ে স্যার বরাবরই অনড়, যে কোন পরিস্থিতেই খুব দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করেন। ভবিষ্যতে আমাদের এই কার্যক্রমের মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির পরিবারকে সহযোগিতা করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
মানবিকতার বিষয়ে তিনি অনড় থেকে, মানুষের ইচ্ছে এবং চেষ্টা থাকলে যে, কোন কাজ খুব দ্রুত করতে পারেন তার প্রমান দিয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ শাহাবুদ্দিন বলেন, শিক্ষকরা হলো জাতীর দর্পন, শিক্ষকেরা যাতে অনৈতিক কাজের সাথে না জড়ান সে বিষয়ে সজাক থাকার আহবান করেন তিনি।
পরে এক মতবিনয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক গিয়াস কবিরসহ অন্যান্য শিক্ষকরা মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। এ সময়ে উপস্তিত ছিলেন জেলা হিসাবরক্ষক অফিসার, উপজেলা হিসাবরক্ষক অফিসার, উপজেলা অডিট অফিসার, প্রয়াত শিক্ষক আবু জাফর মুহাম্মদ সালের স্ত্রী এবং দুই মেয়ে, শিক্ষক নেতাসহ শিক্ষক বৃন্দ।