সম্পাদকীয়
প্রতিনিয়ত মানুষের জীবন জীবিকার ক্ষেত্রে জীবন পরিচালনার ক্ষেত্রেই বয়সের তারতম্য থাকলেও মানসিক চিন্তা চেতনার ক্ষেত্রে রয়েছে ব্যাপক পরিবর্তন। এই পরিবর্তন দিয়েছে জীবনকে সঠিক পথে নেয়ার বিপথগামীতা করার। বর্তমান সমসাময়িক পৃথিবীর সকল দৈনন্দিন সুযোগ সুবিধা মানুষকে সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত করছে। এই বিচ্যুতির বয়সটা ১৪ থেকে শুরু করে যেকোনো বয়সের হতে পারে। এর আগের বয়সটা শিশুকালের ছোটাছুটির বয়স ফলে তাদের মাঝে ব্যক্তিগতিক জীবনের হিসাব-নিকাশ আসে না। মানসিক টেনশন পায় না। ফলে এদের জীবনের ক্ষেত্রে আত্মঘাতী মৃত্যুর ঘটনা কমই ঘটে থাকে। বর্তমান যুগ উপযোগী পৃথিবীর দৈনন্দিন জীবন ব্যবস্থার ফলে জীবনের অভ্যন্তরীণ কিছু বিষয় আছে যেগুলো খুব সহজেই জানা সহজ হয়ে গেছে। আর এই জানাটা বয়সের ছাপের ক্ষেত্রে একটা বাধা তৈরি করে। সামাজিক সম্পর্কর ক্ষেত্রে বর্তমান ৯০ দশকের পরে এসে যা বলতে চেয়েছি তা হলো ২১ শতাব্দীতে এসে যুবক-যুবতীদের সংমিশ্রণটা সামাজিক সামঞ্জস্যতা বোধের বাইরে চলে গেছে। এখন আর যুবক-যুবতী বয়সের ছেলে মেয়েরা পরিবার পরিজনের দিকে তাকায় না শিক্ষা অর্জন করতে গিয়ে বিভিন্ন কাজে এরা পথের মাঝেই পৃথিবীর জীবন যাপনের ক্ষেত্রে সঙ্গী বাছাই করে নিয়ে নেয়। এই বাছাইটা কখনো কখনো কারো জন্য মৃত্যুর ফাঁদ হয়ে দাঁড়ায়। নিজেদের মধ্যে সামঞ্জস্যতা হলেও দুই যুবক-যুবতীদের পারিবারিকভাবে সামঞ্জস্যতার অভাবের কারণে অনেক সময় ঘটে যায় জীবন ধ্বংসের কারণ। তাহলে শিক্ষা দেওয়া এবং শিক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে ছেলেমেয়েদের চলাচলের গতিবিধির উপরে শিক্ষার জন্য যে সময় এবং অর্থ ব্যয় করা হয় তার থেকেও বেশি এই গতিবিধির উপরে নজর দিতে হয়। যদি স্ব স্ব পরিবারের সন্তানদের শিক্ষাজীবন বা কর্ম জীবন পরিচালনার জন্য যে চলাফেরার সময়টা এই সময়ের উপর অবশ্যই পরিবারের কঠিনভাবে নজর রাখতে হবে। যদি গুরুত্বের সহিত নজর না রাখা যায় তাহলে মানসিক অবনতি হয়ে আছে। সামাজিক প্রেক্ষাপট অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বিশেষ করে পারিবারিক প্রেক্ষাপট এর মধ্যে ওতপ্রোতভাবে জড়িত যার কারণে এসব বয়সীর মেয়ে ছেলেদের মধ্যে অহেতুক ঘটনার প্রায়রসী জন্ম হয়ে থাকে। বিশেষ করে যুবক যুবতী এদের মানসিক গতি পারিবারিক ম্যানসনের মধ্যে তফাৎ সৃষ্টি হয়ে আছে। ২০ বছর আগের পারিবারিক পরিস্থিতি আর ২০ বছর পরে এসে পরিবারের যুবক যুবতীদের মানসিক পরিস্থিতির মধ্যে বিস্তর ব্যবধান রয়ে গেছে। ফলে পরিবার এবং যুবক যুবতীদের মানসিক পরিস্থিতি একাত্মতা পোষণ করতে পারে না। এতে করে দ্বিমত সৃষ্টি হয় দ্বিমত সৃষ্টিটা সকল যুবক যুবতীরা মেনে নিতে পারে না। ফলে ঘটে সংকটময় ঘটনার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। ২৩ জুলাই দৈনিক শপথ পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে ফরিদগঞ্জে অভিমান করে যুবতীর আত্মহত্যা। এই ঘটনা একটি নয় প্রতিনিয়ত দেশের গণমাধ্যমগুলোতে কোনো না কোনো এমন ঘটনা প্রকাশ হয়েই থাকে। এই সংকট থেকে সমগ্র জাতিকে রক্ষা করতে হলে সার্বিক বিষয়ের হিসাব নিকাশ করে যার যার অবস্থানে পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। যদি এ সিদ্ধান্ত নিতে ভুল হয়ে যায় তাহলে এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে। বাস্তবতা হলো এখানে সচরাচর জীবনযাত্রার পরিবেশ আর পারিবারিক সন্তানদেরকে জীবনযাপনের পরিবেশ এই দুটোর সামঞ্জস্য রেখে সাংসারিক পারিবারিক জীবন পরিচালনা করা উচিত। তাহলে পরিবারের অবস্থা অবস্থান বাস্তবতা আর এমন বয়সের সদস্যদের চিন্তা চেতনা অবস্থা অবস্থান এবং বাস্তবতা বিষয়গুলোতে মনোনিবেশ করানোর চেষ্টা করাতে হবে। তবেই তার জীবনের প্রস্তুতি চলমান পরিস্থিতি একটা নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত হবে। যে সকল পরিবারের মধ্যে এরকম নিয়মতান্ত্রিক চিন্তা চেতনার বহিঃপ্রকাশ না থাকে সেই পরিবারের মধ্যে এমন কষ্টকর, যন্ত্রণাদায়ক ঘটনার সৃষ্টি হয়ে থাকে। এখানে পারিবারিকভাবে সচেতন এবং শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবনের চেষ্টা করতে হবে।