ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি:
ফরিদগঞ্জে মাদ্রাসায় পড়ুয়া ১০ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে আটকে রেখে জোর পুর্বক ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত মহিউদ্দিন রিপনকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া এঘটনায় সহযোগিতার অভিযোগে এজাহার নামীয় আসামী হিসাবে অভিযুক্ত রিপনের চাচা মোশারফ হোসেনকেও আটক করে পুলিশ।
শনিবার গভীর রাতে ঘটনার শিকার শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় রিপনকে প্রধান আসামী করে ৪জনের বিরুদ্ধে মামলা(নং-১২, তাং-০৬.০৩.২০২২) দায়ের করে। উপজেলার জামালপুর গ্রামে এঘটনা ঘটে। রোববার সকালে আটককৃত দুইজনকে আদালতে ও শিক্ষার্থীকে ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য মেডিকেলে প্রেরণ করে পুলিশ।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ঘটনার শিকার শিক্ষাথী রূপসা আহমদিয়া আলিয়া মাদ্রাসার ১০ম শ্রেণির ছাত্রী। গত ২৬ ফেব্রæয়ারী সকালে প্রতিদিনের ন্যায় মাদ্রাসায় যাওয়ার পথিমধ্যে আলহাজি বাড়ির সামনে পৌছলে পুর্ব থেকে ওঁৎপেতে থাকা ঘোড়াশালা গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে মহিউদ্দিন রিপনসহ অন্যান্যরা জোরপুর্বক একটি সিএনজি স্ক্রুটারে করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে চাঁদপুর শহরের মিশন রোডস্থ রিপনের এক আত্মীয়ের বাসায় আটকে রেখে জোর পুর্বক ধর্ষন করে। পরে শনিবার গভীর(০৬.০৩.২০২২) রাতে ঘটনার শিকার শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় রিপনকে প্রধান আসামী করে ৪জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী অফিসার আ: কুদ্দুস সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে প্রধান অভিযুক্ত মহিউদ্দিন রিপন ও এজাহার নামীয় আসামী হিসাবে অভিযুক্ত রিপনের চাচা মোশারফ হোসেনকে আটক করে। রোববার সকালে আটককৃত দুইজনকে আদালতে ও ঘটনার শিকার শিক্ষার্থীকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য চাঁদপুর মেডিকেলে প্রেরণ করে পুলিশ।
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন মামলা দায়ের পুর্বক প্রধাণ অভিযুক্তসহ দুইজনকে আটক পরবর্তী আদালতে ও শিক্ষার্থীকে ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য মেডিকেলে প্রেরণ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।