বিল্লাল ঢালী
ডায়াগনস্টিক সেন্টার হাসপাতাল ও ক্লিনিক ব্রিকফিল্ড এসব প্রতিষ্ঠানে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র বাধ্যতামূলক। চাঁদপুরে অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই ব্যবসা পরিচালনা করছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান আবেদন করেই শুরু করে দেয় তাদের কার্যক্রম। অথচ নিয়মানুযায়ী ছাড়পত্র পাবার পর কার্যক্রম করার কথা। অপরদিকে চাঁদপুর পরিবেশ অধিদপ্তর সেসব প্রতিষ্ঠানগুলোতে অভিযান পরিচালনা করে দিচ্ছে অর্থদণ্ড। তারপরও প্রতিষ্ঠানগুলো চলছে তাদের নিয়মে। নানা অজুহাতে ব্যবসা পরিচালনা করছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই। অর্থাৎ ছাড়পত্র নিতে গড়িমসি করছে প্রতিষ্ঠানের মালিক পক্ষ। অবশ্য কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান মালিক বলছে, পরিবশে অধিদপ্তরের দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে ছাড়পত্র পাওয়া যায়। এতো সকল কাগজপত্র পাওয়ার পর কাজ করার কঠিন হয়ে পড়ে।
চাঁদপুর পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ইং থেকে ৩ জানুয়ারি ২০২১ ইং পর্যন্ত জেলায় ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করে ৫৮ টি প্রতিষ্ঠানকে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। এসব অভিযানে জরিমানা আদায় করা হয়েছে ২৯ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। যার মধ্যে ৪২ টি প্রতিষ্ঠানেই নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। ১৪টি প্রতিষ্ঠানে ছাড়পত্র থাকলেও নবায়ন করেননি তারা। দুটি প্রতিষ্ঠান ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেছে নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর।
অর্থদন্ড পাওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ক্লিনিক ও হাসপাতাল ৩৬টি। ব্রিকফিল্ড ১৭ টি এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ৫ টি। ব্রিক ফিল্ড থেকে জরিমানা আদায় করা হয় ২৪ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা। অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে আদায় করা হয় ৫৮ হাজার টাকা। এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ক্লিনিক ও হাসপাতাল থেকে জরিমানা আদায় করা হয় ৪ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা।
পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাজিম হোসেন শেখ জানান, অভিযানের পর অনেকগুলো আবেদন জমা পড়েছে। তারপরেও যারা আবেদন করেনি আমরা তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করবো।