নিজস্ব প্রতিনিধি:
রাজধানীর (মিরপুর-১২নং বি-ব্লক) পল্লবীতে বাড়িওয়ালার সমিতির (অগ্রণী কল্যাণ সমিতি) নামে মোহাম্মদ হাদি ও ইদ্রিস আলী নামের দুই ব্যক্তির বাড়ি দখলের অপচেষ্টা ও বাড়ি ওয়ালা সদস্যদেরকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
খবর নিয়ে জানাযায়, পারভিন আক্তার ও তার স্বামী তাই উদ্দিন মিয়ার পরিবারের সাধারন সমস্যা সৃষ্টি তা নিয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী হয় (জিডি নং২০১৯), তা সমাধান করার আশ্বাস দেখিয়ে পরিবারের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে বাড়ি দখল করার অপচেষ্টা ও ফারভীন আক্তারের স্বামীকে বাড়ি থেকে লুকিয়ে দুরে রাখে মোঃ ইদ্রিস আলী ও মোহাম্মদ হাদি নামের দুই ব্যক্তি । স্থানীয় বাড়িওয়ালার সমিতির কথা বলে বিভিন্ন বাড়ি থেকে সমিতির নামে চাঁদা উত্তোলন সহ বাড়ি-ওয়ালাদেরকে ভিবিন্ন ভাবে হয়রানি করাসহ নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে মিরপুর পল্লবীসহ মিরপুরে-১২ আশপাশ এলাকায় । এ বিষয়ে স্থানীয় বাড়িওয়ালাদের মধ্যে একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, তাদের হাতে ব্যাপক ক্ষমতা। ইদ্রিস আলী ও মোঃ হাদি প্রধানমন্ত্রীর চাচার পরিচয়ে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা করে, বাড়ি ওয়ালাদেরকে কৌশলে মেনেজ করে বাড়ির অন্যান্য সদস্যদেরকে হয়রানি করে।
তাদের সাথে প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয় আছে তাদেরকে কেউ কিছু করতে পারবে না। বাহিনী দিয়ে একাকীত্ব রাজ করছেন এই দুইজন, কেউ কিছু বলতে পারছে না, সবাইকে ভয়-ভীতির মধ্যে রাখে। কিছুদিন আগে এক বাড়িওয়ালার পারিবারিক সমস্যা সমাধান করে দিবে বলে উল্টো তাদেরকে হয়রানি করে। ওই বাড়িওয়ালা স্থানীয় পল্লবী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করলে পুলিশ এসে তাৎক্ষণিক সমস্যার সমাধান করলেও ওই পুলিশকে পল্লবী থানা থেকে ট্রানস্ফার করে দেওয়া হয় বলে জানাযায়।
ওই বাড়িওয়ালার সমিতির (জনকল্যাণ সমিতির) সভাপতি শেখ মোঃ খবির উদ্দিন প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়র (সম্প্রকৃত চাচা), এই সভাপতির চোখকে অন্ধ বানিয়ে এই ধরনের অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে সভাপতির সঙ্গে থাকা মোহাম্মদ হাদি ও ইদ্রিস আলী ।
শেখ খবির উদ্দিন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি এসব কিছু জানি না, ইদ্রিস ও হাদি এদরনের কাজ করে তা আমি জান্তাম না, আমি এবিষয়ে খবর নিয়ে দেখবো।
স্থানীয় সাধারন মানুষ জানায়, মোঃ হাদি ও মোঃ ইদ্রিস পুরো বি-ব্লকে গ্রুপিং করে বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদেরকে নির্মম ভাবে অত্যাচার করে, এ সকল বিষয় সমিতির সভাপতি শেখ মোঃ খবির উদ্দিন কিছুই জানেন না। তারা বলেন, সমিতির সভাপতি একজন ভালো মানুষ, এসব বিষয় তিনি কিছুই জানে না।
হাদি ও ইদ্রিস কারো সাথে কোনো ঝামেলায় পড়লে সভাপতিকে উল্টপাল্টা বুঝিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভিবিন্ন দপ্তর থেকে ফোন করিয়ে আতংক সৃষ্টি করে রাখে। এতে করে প্রশাসন কিছু বলতে পারছেন না ।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার পারভিন আক্তার বলেন , আমার বড়ো বোন ফাতেমা বেগম বিগত ৪৫ বছর আগে যখন মারা যায় । সে সময় তার ঘরে সাত বছরের এক ছেলে মোঃ তোফায়েল আহমেদ(জীবন ) ও আড়াই বছরের এক মেয়ে আয়েশা আক্তার সেলিনাকে রেখেযান, এই ছেলে মেয়েকে দেখাশোনার জন্য তৎকালীন সময় আমার পরিবার না রাজি থাকলেও বোনের সন্তানদের কথা চিন্তা করে পারিবারিকভাবে আমার ওই বোনের স্বামী তাজ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গেই আমার বিবাহ হয় । এবং আমার ঘরে বর্তমানে চার জন কন্যা সন্তান ও একজন পুত্রসন্তান রয়েছে।
ভালোভাবে সংসার জীবন কাটছিল, আমার বোনের ছেলে বর্তমান আমার বড় ছেলে তোফায়েল আহমেদ ( জীবন) প্রবাসে যেতে চাইলে তাকে ইউরোপ পাঠাই । এবং আয়েশা আক্তার সেলিনাকে পাত্র দেখে বিবাহ দেই , সবকিছু মধ্যে যখন দুঃখ সুখ পরিবারের মাঝেই ভাগাভাগি করে নিয়েছিলাম,
ঠিক তখনই একটি ঝামেলা শুরু হয় আমার বোনের ছেলে বর্তমান আমার বড় ছেলে তোফায়েল আহমেদ জীবনের সাথে পারিবারিক ভাবে, তা আমার ভাই বোন ও আত্মীয় স্বজনরা মিলে সমাধানের চেষ্টা করে, আমার স্বামীকে নিয়ে ভালো ভাবে জীবন জাপন করতে থাকি। পল্লবী থানায় অভিযোগ হলে থানা পুলিশ বিষয়টা মিমাংসা করে দেয়। আমার বড় ছেলে (বোনের ছেলে) মেয়ে ও আমার স্বামী থানা পুলিশের বিষয়টা সন্তোষ জনক বলে মনে করে যে যার মত বসবাস করতে একমত হই। যা থানা পুলিশ অবগত রয়েছেন।
ঠিক এই সময় ইদ্রিস আলী ও মোহাম্মদ হাদী নামের দুই ব্যক্তি মিলে আমার বড় মেয়ে আয়েশা আক্তার সেলিনা ও ছেলে তোফায়েল আহমেদকে এবং আমার স্বামীকে কুপরামর্শ দেয়, এই স্থানীয় সমিতির নামে সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান ইদ্রিস আলী ও মোহাম্মদ হাদি আমার স্বামীকে তাদের আওতায় নিয়ে যায়, আমার স্বামীকে তালাকের জন্য পরামর্শ দেয়, এবং আমার স্বামীর সম্পত্তি বিক্রি করার জন্য জোরযাপ চালাচ্ছে। বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয়, আমার উপযুক্ত মেয়েদেরকে ইভটিজিং করে, এলাকার গার্ড দিয়ে নজরদারি করে।
আমি বাড়ি ছেড়ে চলে না গেলে আমার বড়ো ছেলে তোফায়েল আহমেদ জীবন কে কুপরামর্শ দিয়ে আমাকে খুন করাতে বাধ্য করবে । আমি কিছুদিন যাবৎ লক্ষ্য করতে পেরেছি আমার বাড়ির আশপাশে অচেনা কিছু লোকজন ঘোরাফেরা করছে । আমি তাদেরকে বাড়ির সামনে ঘোরাফেরার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা আমার উপর চওড়া হয় , এবং আমার মেয়েরা বাইরে বের হলে তাদের পিছনে পিছনে গিয়ে নানান বাজে কথাসহ ছবি তোলার চেষ্টা করে,
এসব বিষয় নিয়ে থানায় অভিযোগ করলে আমাদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আসলে দেখে যায়। এবং ইদ্রিস ও মোহাম্মদ হাদি কে, এসব অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকতে বললে, পুলিশ সমাধান করতে চাইলে ওই পুলিশকে কিছুদিনের মধ্যে ওই থানা থেকে অন্য জায়গায় ট্রান্সফার করা হয় প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়র মাধ্যমে, এরপর থেকে শুরু হয় আরো বেশি তাদের হুংকার তারা প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়ের বন্ধু পরিচয় দেয়, আমি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি তাই আবারও পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি ,
আমি দ্বিতীয়বারের মতো পুলিশের ডায়েরি করলে (জিডি নং: ২৩৭) হাদি ও ইদ্রিস বলেন, কিভাবে আমি আমার বাড়িতে থাকি সেটা তারা দেখে নেবে। বর্তমানে আমার বাসার কোন ময়লা আবর্জনা নিচ্ছে না ময়লাওয়ালা, ময়লাওয়ালাদেরকে নিষেধ করে দিয়েছে যাতে করে ময়লা না নেয়। ময়লাওয়ালা বলে আমাকে বলে আপনার বাড়ির ময়লা আবর্জনা নেয়া নিষেধ আপনার যা বলার সমিতি অফিসে গিয়ে বলেন।
এবিষয়ে হাদির সাথে কথা হলে তিনি ভুক্তভোগী পারভিনের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেন, কিছু বিষয় জানেন না বলে এড়িয়ে যান।
পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, অপরাধী যেই হোক না কেন, তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রধান করাই আমাদের দায়িত্ব, ভিকটিম একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন, আমরা সেদিকে খতিয়ে দেখছি, আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিবো।