মোঃ হোসেন বেপারী:
হাজীগঞ্জের গৃহবধু খাদিজা বেগম। তিনি বলাখাল গুচ্ছ গ্রামের আবু ইউসুফের স্ত্রী। দীর্ঘদিন ধরে টনসিলের ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছিলেন। ব্যথা লাঘবে ছুটে যান হাজীগঞ্জ পৌরসভার বলাখাল তুলাতল মেসার্স অর্পণ মেডিকেল হলের পল্লী চিকিৎসক উৎপল সাহার কাছে। তিনি ওই গৃহবধূর টনসিলের ব্যথা কমানোর জন্য টোরাডলিন ৩০ ইনজেকশন কোমরে পুশ করেন। এরপর থেকেই তার ডান পায়ের যন্ত্রণা বেড়ে যায়। একপর্যায়ে খাদিজা বেগম পায়ের যন্ত্রণায় চলাচল করতে অক্ষম হয়ে পড়েন। বিষয়টি উৎপল সাহাকে জানালে তিনি রিজারবিক্স-১০০ এমজিসহ বিভিন্ন ওষুধ দেন। আর এভাবেই সপ্তাহখানেক প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা চালিয়ে যান উৎপল সাহা। এতে করে বর্তমানে ওই গৃহবধুর পা অবশ হয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
ভূক্তভোগী খাদিজা বেগম জানান, টনসিলের সমস্যার কারনে কেনো পাঁজরে ইনজেকশন দেয়া হলো। আর কি ইনজেকশন দেয়া হয়েছে তাও জানানো হয়নি। এই ইনজেকশন দেয়ার পর থেকে হাঁটাচলা করতে পারছি না। দিন দিন প্যারালাইসিস এর মতো হয়ে যাচ্ছি।
খাদিজা বেগমের স্বামী আবু ইউসুফ বলেন, উৎপল সাহার ভুল চিকিৎসার কারনে তার স্ত্রী পঙ্গুত্ববরণ করার পথে। তার ছোট দুইটি সন্তান আছে। তাদেরকে নিয়ে এখন বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ইউসুফ। তাই এ ঘটনায় প্রশাসনের কাছে সুবিচার প্রত্যাশা করেন ভূক্তভোগী খাদিজা বেগম স্বামী আবু ইউসুফ।
যদিও ওই পল্লী চিকিৎসক উৎপল সাহা বলেন, ইনজেকশন দেয়ার পর তিনি ম্যাসেজ না করার কারনে এমন হতে পারে। তারপরও ভূল হয়েছে বুঝতে পেরে প্রাথমিক ভাবে হাজীগঞ্জের দু’টি হাসপাতালের কয়েকজন ডাক্তারকে দেখানো হয়েছে। তবে সঠিক ভাবে ব্যায়াম করলে পা ঠিক হয়ে উঠবে বলে দাবি করেন তিনি।