সরকার গৃহহীন জনগণের জন্য ঘর দিচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে কোন লোক গৃহহীন থাকবে না এমনটাই প্রত্যাশা। দেশের উপজেলায় উপজেলায় রয়েছে এর সঠিকভাবে বন্টন ব্যবস্থা করার প্রক্রিয়া। সরকারের জনমুখী কাজের জন্য রয়েছে চৌকস জনবল। মাঠ পর্যায়ে এমন মানুষের খোঁজ নিয়ে যথাযথ বাস্তবায়ন করার পরও কিভাবে এমন সংবাদ নজরে আসে? কারণ প্রায় দুই বছরের কার্যক্রম কিভাবে ভেস্তে যায় তা মোটেও আশার কথা নয়। ১৬ জুন দৈনিক শপথ পত্রিকা শিরোনাম করেছে ‘২৬ বছর ঝুপড়ি ঘরে জীবন’। হতদরিদ্র ভূমিহীন জেলে জামাল মিজি (২৯) ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৯ নং ওয়ার্ডের কাটিয়াল গ্রামের মুন্সি বাড়ির বাসিন্দা। তার পিতা লুনি মিজি ২৬ বছর আগে ঋণের দায়ে ভিটে মাটি বিক্রি করেছিলো। ফলে জীবন সংসারে নামে অভাব নামের দানবের কালো ছায়া। বর্তমানে ২৬ বছর ধরে কাটিয়ালপুর মুন্সি বাড়ি ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করছে পরিবারটি। পলিথিন দিয়ে ঘরের ছালা দিয়ে বছরের পর বছর পার করছে। ঘরে ঝড় আর বৃষ্টিকালে বিভিন্ন দিক দিয়ে পানি পড়ে। এদিক ওদিক নড়েচড়ে ওঠে ফলে তিন বছরের মেয়েটি জড়োসড়ো হয়ে পড়ে। কিন্তু এমন পরিবারের জীবনকে ভরিয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে অঙ্গীকারাবদ্ধ। একটি মানুষও ঘর ছাড়া থাকবে না। এর জন্য সরকারের আমলা থেকে স্থানীয় সরকার এবং দলীয় নেতৃত্বে এর বাস্তবায়ন কতটুকু যুক্তিসম্মত হয়েছে তা এমন খবরে সচেতন মহলের মাঝে তীব্র সমালোচনা ঝড় উঠেছে। সরকারের উদ্দেশ্য আর বাস্তবায়ন বিপরীতমুখী প্রভাবের ফলে কষ্টে ভরা জীবনের গল্প যেন শেষ হবার নয়। এমন জীবনের গল্প শেষ করতে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।
আজ,
বুধবার , ৪ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ , ১৯ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।