সম্পাদকীয়
কেমন হওয়া উচিত এমন সম্পর্কের ধরণ, নদী জল জেলে জালের মধ্যে। নদীমাতৃক বাংলাদেশের জলজ সম্পদের বিপুল সমাহার। এ সম্পদের উপযুক্ত ব্যবহারে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয় আছে। বিশেষ করে প্রকৃতির নান্দনিক নৈপুণ্যতা বাংলাদেশকে দিয়েছে অপার সম্ভাবনাময় রূপ বৈচিত্রের চারণভূমি। বাংলাদেশের জনসংখ্যার অনুপাতে পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নত দেশের তুলনায় ব্যাপক সংকুলান রয়েছে। এ সংকুলান আর্থিক খাতকে কেন্দ্র করে বিরাজমান। শিক্ষার ব্যাপকতা যদিও দৃশ্যত রয়েছে এর মাঝেও ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। স্বাস্থ্য খাতের যোগাযোগ খাতে আন্ন বস্ত্র বাসস্থান এর সবগুলোই জনসংখ্যার ভিত্তিতে উন্নত দেশের তুলনায় বিপুল পরিমাণ বৈসাদৃশ্য রয়েছে। এরপরেও এ দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের বিশাল নিদর্শন অর্থবহ শ্রমবহ যোগাযোগ ক্ষেত্রে নদী ব্যবস্থার প্রাকৃতিক কল্যাণ আমাদেরকে বেষ্টন করে আছে। বাংলাদেশের জলজ সম্পদের বিশেষত ইলিশ সারা বিশ্বে সুনামের মানদÐ হিসেবে বিরাজমান রয়েছে। ইলিশের উৎপাদনকে যথোপযুক্ত পরিমাণে বৃদ্ধি করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম ঝাটকা ইলিশ ধরার উপর নির্দিষ্ট সময়কাল ব্যপি নিষিদ্ধ করা হয় হয়েছে। বাংলাদেশের নদী অ লের জনগণের নদীর বুক থেকে পানি ছেকে অনবরত বিভিন্ন প্রজাতির মৎস্য আহরণ করা হয়। এর বিনিময়ে তাদের বিশেষ করে জেলেদের নদী অ ল ভিত্তিক জীবন ও জীবিকা গড়ে উঠেছে। সাথে সাথে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি করার মাধ্যম হিসেবে আবহমানকাল থেকে চলে এসেছে। ঝাটকা ইলিশ নিধনের ক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়ার সময় একদিনের নয়। এটা অতিতেও এভাবেই হয়ে গেছে। তবে মৎস্য আহরণকারী জেলেদের জীবনে এক ধরনের অসহায়ত্বের চাপ নেমে আসে। সরকার এই বিষয়টা একেবারেই বেখবর নয়। রাষ্ট্রীয়ভাবে এই সকল পরিবারদের আর্থিক সহযোগিতা রেশন কার্ড পদ্ধতি মাধ্যমে খাদ্য এবং অর্থায়নের যোগান দেওয়া হয়ে থাকে। এর পরেও এই দেশের জেলেদের বিভিন্নভাবে মৎসাহরণ নিষিদ্ধ সময়েও মাছ ধরতে ব্যাপক অন্যায় পথ অবলম্বন করে থাকে। যার ফলে ১০ মার্চ দৈনিক শপথ পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে মেঘনায় ঝাটকা নিধনের দায়ে ২৯ জেলে আটক। এছাড়াও জেলেদের জীবনে রয়েছে মহাজনি কারবাড়ীর ব্যাপক প্রয়োগ। মৎসাহরণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সরঞ্জামাদির প্রয়োজন হয়। এ সকল সরঞ্জামাদি বিশেষত জেলেদের সংগ্রহ করা বা নিজস্বভাবে যোগান দেওয়া হয়ে ওঠে না। যার কারণে এক ধরনের মহাজনদের ধরনা দিতে হয়। এই ধরনা দিতে গিয়ে বিভিন্ন চুক্তিভিত্তিক অর্থনৈতিক লেনদেন হয়ে থাকে। সেসকল লেনদেনের পরিশোধ পদ্ধতি মৎস্য আহরণের ক্ষেত্রে সমন্বয় করা হয় থাকে যার কারণে চলমান ঋণ পরিশোধের প্রক্রিয়ায় ছেলেদের ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। খাদ্য এবং সাময়িক কর্ম কর্মসূচি এদের এমন সময়ে অসচ্ছলতার কষাঘাতে পড়তে হয়। দুটো কারণ এক সংসারের ভরণ পোষণ এবং মহাজন ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থা এছাড়া ও ব্যাংকিং লেনদেনের ঘটনা রয়ে যাচ্ছে। কিন্তু নিত্যনৈমিত্তিক মৎস্য আহরণের কাজ আটকে গেলে তারা বিপাকে পড়েতে হয়। আবার অনেকেই আছে প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে আটকে পড়ে। সত্যতার মাধ্যমে যাদের কর্মসূচি পালনে আগ্রহ রয়েছে তাদের অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে তবে এই ইলিশ উৎপাদনের বৃদ্ধির কার্যক্রম পদ্ধতি জেলে এবং মহাজন্দের বিপাকে ফেলে দেয় আর আর্থিক লেনদেনের ভোগান্তি থেকে বাঁচতে ছেলেরা নিষিদ্ধ সময়ও মাছ ধরার চেষ্টা করে থাকে। দেশের সচেতন মহল এই বিষয়ে ভাবেন এবং বুঝে থাকেন কিন্তু কিছুই করার থাকেনা সাধারণ এই নদীকেন্দ্রিক মৎসাহরণ তাদের সাথে সম্পৃক্ত লোকদের যত উপযুক্ত আর্থিক এবং খাদ্য যোগানের ব্যবস্থা করে তাদের নিষিদ্ধ সময়ের ফলে তাদের জীবন ব্যবস্থার প্রতি নজর দিতে হবে চাহিদা অনুযায়ী।