সম্পাদকীয়
সরকার জনগণের দায়বদ্ধতা নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার করে থাকে। একটি দেশের বিভিন্ন স্তরের জনগণের বসবাস থাকে। সকলের চাহিদা সমানভাবে পূরণ করা সম্ভব নয়। কিন্তু কিছু কিছু চাহিদা রয়েছে যেগুলো জনগণের পূরণে সরকার সচেষ্ট থাকে। জনগণের চাহিদার বিভিন্ন দিকের মধ্যে খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান শিক্ষা চিকিৎসা যোগাযোগ তথ্যপ্রযুক্তি সর্বোপরি মত প্রকাশের স্বাধীনতা। এসকল মিলেই রাষ্ট্র পরিচালনার ব্যক্তি তো সরকার বিভিন্ন প্রক্রিয়াতে জনগণের দায়িত্ব পালন করে থাকে। গৃহহীন মানুষের জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালিয়েছেন এর মধ্যে ২৪ নভেম্বর দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে মতলবে ভূমিহীন ১৮০ পরিবারকে ঘরের চাবি হস্তান্তর। হ্যাঁ এই উদ্যোগের প্রশংসার কমতি নেই। কিন্তু সরকারের আর্থিক অনুদান এবং এর বাস্তবায়নে কেমন প্রশংসার ভিত্তি স্থাপন হয়েছে সেটা যদি যথোপযুক্ত ভাবে পরীক্ষণ পর্যবেক্ষণ এবং এর অবকাঠামগত বাস্তবতা কতটুকু ন্যায় সঙ্গত হয়েছে এ সকল বিষয়ে যথাযথ হয়েছে কিনা সেই সকল বিষয়গুলো নিয়েই সরকারের মানবকল্যাণের ভূমিহীন গৃহহীন মানুষের জন্য করা কাজ কতটুকু সফল হয়েছে সেটা হল বড় বিষয়। সকল বাসস্থানগুলো এমন লোকদেরকে দেয়া হয় যারা প্রতিবাদ করার যোগ্যতা রাখে না। প্রতিবাদ করতে গেলে বিভিন্ন প্রকারের হয়রানির শিকার হতে হয়। এমনকি এসব ঘর পাওয়ার ক্ষেত্রে বিগত দিনে অনেক নাটকীয়তার জন্ম দিয়েছে। সে সকল নাটকীয়তায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এসকাল গৃহহীন মানুষগুলো আর বদনাম অপবাদ সরকারের তো কম হয়নি। সরকারের প্রকল্প উপস্থাপন এবং বাস্তবায়নের মধ্যে একটা গ্যাপ রয়েছে এই গ্যাপের মধ্যে যারা কাজ করে তারা যদি বাস্তবসম্মত ব্যবস্থাপনায় মনোনিবেশ করে থাকে বা করতো তাহলে কখনো সরকারের এমন জনমুখী কাজগুলোতে বিপরীত আলোচনার সৃষ্টি হতো না। দেশের জনগণের সেবার ক্ষেত্রে আন্তরিকতার অভাব থাকলে এবং আন্তরিকতার অভাব না থাকলে যা হয় এই দুটো দিকেই পরিস্ফুটন হয় যে কোন প্রতিষ্ঠান স্থাপনের পর কিছু সময় পার হলে। ভালো-মন্দ দুটোই প্রকাশ হয়ে থাকে তাই জনগণের মানসিকতাকে মূল্যায়ন করা হলে জনগণের ক্ষমতায়ন কে মূল্যায়ন করা হয়। এই জনগণ দৃষ্টিগতভাবে যে কোন স্তরেরই হতে পারে তাই জনগণের মানসিকতা জনগণের চাহিদা জনগণেরও প্রাপ্তি জনগণের অভিযোগ সকল বিষয়ে জনশাসকের গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবসম্মত পথ অবলম্বন করে রাষ্ট্র পরিচালনা গুরুত্ব বহন করে।