সম্পাদকীয়
রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকারের কর্তৃত্বপরায়ণ একচ্ছত্র অধিকার জনগণ দিয়ে থাকে কিন্তু কিভাবে বেসামরিক জনগণ রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বের অধীন বিভিন্ন অবস্থান থেকে সার্বিক জনগণের ব্যবহার কৃত প্রতিষ্ঠানে একচ্ছত্র অধিকার বেআইনি অধিকার পরিচালনা করে সেটা এ দেশের সংস্কৃতি এবং কালচারে পরিণত হয়েছে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় অথবা আশ্রয় ছাড়া কিভাবে এমন বেআইনি কাজ করতে পারে সেটা খতিয়ে দেখার জরুরি বিষয় বলে মনে করে দেশের সচেতন মহল। ৩০ নভেম্বর দৈনিক শপথ পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে নীল কমলে আবারও মাটি খেকোদের হানা সরকার যে স্থানকে সংরক্ষণের জন্য নির্দেশ দিয়ে থাকে সেই স্থান কোনভাবেই অন্যায় চলমান থাকতে পারে না। বাংলাদেশ এক আজব নিয়ম নীতির অধীনে চলে গেছে। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মহল থেকে যেকোনো বিষয়ে যে নির্দেশনা দেওয়া হয় সেটা মানতে কোনোভাবেই রাজি নয়। এজন্য সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর পরিস্থিতি কিভাবে কোন পথ অবলম্বন করে এত বড় পুকুর চুরির মত কাজ পরিচালিত হয় এমন কোন চক্র রয়েছে যাদের মদদে পড়ে এমন কার্য সংঘটিত হয়ে থাকে রাষ্ট্র যেখানে বা যে স্থানকে অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা দিয়ে থাকে সেই অঞ্চলের পরিবেশগত অবস্থানগত পরিস্থিতির ব্যাঘাত ঘটায় এটা কোনোভাবেই কাম্য নয় কিন্তু কেন এমন অর্থনৈতিক অঞ্চলকে ভঙ্গুর অঞ্চলে পরিণত করার হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করা হয় তাহলে কি বুঝবো দেশ জনগণ এবং রাষ্ট্র কার্য পরিচালনা পরিষদ সকলেই এক বিচ্ছিন্ন পরিবেশে বিচ্ছিন্ন বলয়ে রয়ে গেছে বা বিচ্ছিন্ন পরিবেশ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তাহলে তো একটি রাষ্ট্র এভাবে চলতে পারে না। এমন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা অর্থনৈতিক অঞ্চলের পরিবেশগত অবস্থানগত পরিস্থিতিকে প্রতিষ্ঠিত রাখতে অবশ্যই প্রশাসন তথা সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর এই বিষয়ে গুরুত্ব দেবে এবং দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলকে রাক্ষস মুক্ত করবে বলে সচেতন মহলের বিশ্বাস।
আজ,
শনিবার , ১ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ , ১৮ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।