বিল্লাল ঢালী:
সারা বিশ্বে করোনার প্রার্দুভাবে যখন লাখলাখ মানুষ আক্রান্ত ও মারা যাচ্ছে তখন কিন্তু চাঁদপুরের মানুষ সুস্থ ছিলো। কিন্তু যারা নারায়নগঞ্জে অবস্থান করেছেন। কিন্তু বেশ কিছুদিন হয় তারা চাঁদপুরে এসেছেন বিভিন্ন আত্মীয়র বাড়িতে। অনেকেই অসুস্থ হয়ে এসেছেন। অসুস্থ হলে আত্মীয় স্বজনের কাছে যাবেন সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু করোনা এমন এক মহামারি আক্রান্ত ব্যক্তি যেদিকে যান সেদিকে তা ছড়িয়ে পড়ে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রথম করোনা রোগী ধরা পড়ে গত ৯এপ্রিল। তিনি রংপুরের বাসিন্দা। থাকেন নারায়নগঞ্জে। আর শশুরবাড়ি মতলব উত্তরে। তিনি মেহমান হয়ে চাঁদকে প্রথম কলঙ্ক দিলেন। এছাড়াও অন্য যে তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন দুইজন এসেছেন নারায়গঞ্জ থেকে। অপরজন তাদের সংস্পর্শে থেকে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি হচ্ছেন মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও)। তাই অনেকেই বলছে চাঁদে কলঙ্ক এঁকে দিলো নারায়নগঞ্জ।
সাধারণ মানুষ বলছে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন আরো আগেই চাঁদপুরকে লক ডাউন করতে পারতো। যখন করলো তখন অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে। যে কারণে এখন চাঁদপুরবাসীও হুমকিতে পড়ে গেছে। এদিকে চাঁদপুর সিভিল সার্জনের তথ্য মতে, গত কয়েকদিনে নারায়নগঞ্জ ও ঢাকা থেকে এসেছেন ৮৩২জন। তাদেরকে ১৪দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। যদিও স্থানীয় ভাবে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ওসব বাড়ি লাল পতাকা সাটিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী চাঁদপুরে মোট চারজন করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। আর এ আক্রান্ত হিসেবে সনাক্ত ৪জনের মধ্যে ৩জনই মতলব উত্তরের। এদের মধ্যে ২জন নারায়নগঞ্জ ফেরত ও ১জন ওইসব রোগীর সংস্পর্শে আসা চিকিৎসক। অন্যজন চাঁদপুর সদরের বাসিন্দা। তিনিও নারায়নগঞ্জ ফেরত। অর্থাৎ নারায়নগঞ্জ থেকে আসা লোকের মাধ্যমেই চাঁদপুরে করোনার সংক্রমণ শুরু হয়ে গেছে। অবশ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) যে তথ্য শনিবার তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে অবশেষে তা নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুরের সিভিল সার্জন। রাববার তিনি জানান, আরো ২জনের রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। অথাৎ আগের ২জনসহ মোট ৪জন করোনা আক্রান্ত হিসেবে সনাক্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত চাঁদপুরে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৬৮ জনের, রিপোর্ট এসেছে ৪৫ জনের। এর মধ্যে ৪১ নেগেটিভ, ৪ পজিটিভ।
সিভিল সার্জন ডা.মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ রোববার সকালে জানান, নতুন করে আক্রান্তদের একজন মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার ও অন্যজন চাঁদপুর সদর উপজেলার বহরিয়া এলাকার (৪০। সদর উপজেলায় এই আক্রান্ত রোগীও নারায়নঞ্জ থেকে এসেছেন।
যদিও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) ওয়েব সাইটে চাঁদপুর জেলায় ৬জন আক্রান্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ১২ এপ্রিল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত নমুনা পরিক্ষার ভিত্তিতে এই ফলাফল বলে আইইডিসিআর ওয়েবসাইটে উল্লেখ রয়েছে। তবে চাঁদপুরের স্বাস্থ্য বিভাগ রোববার সকাল পর্যন্ত ৪জন আক্রান্তের কথা নিশ্চিত হওয়ার কথা জানিয়েছে। উল্লেখ্য, আইইডিসিআর-এর তথ্য একদিন পর চাঁদপুরের সিভিল সার্জন অফিস পেয়ে থাকে।