নজরুল ইসলাম আতিক:
চাঁদপুরের শহররক্ষা বাঁধে হটাৎ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে এবং বাঁধের আংশিক তলিয়ে গেছে। রোববার ভোর ৬টায় চাঁদপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বড় স্টেশন টিলাবাড়ি এলাকায় লঞ্চঘাটের পশ্চিম পাড়ে হঠাৎ শহররক্ষা বাঁধের প্রায় ৫৫ মিটার দৈর্ঘ্য এলাকা তলিয়ে যায়। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ভোরে হঠাৎ চাঁদপুর লঞ্চঘাটের পশ্চিম পাশের শহররক্ষা বাঁধের আংশিক তলিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক এলাকাবাসী বিষয়টি দেখতে পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে দ্রুতই বিষয়টি তারা স্থানীয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহিত করে। সরকারি জায়গায় বসবাসকারী স্থানীয় বাসিন্দারা এখন ভাঙ্গন আতঙ্কে রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সম্মেহের বেগম, রফিক আলী বাবুল খানসহ বেশ কয়েকজন জানান, ভোরে স্থানীয় এক মহিলা নদীর তীরে গেলে হঠাৎ তার নজরে ভাঙ্গনটি আসে। এসময় তার সামনেই বাঁধের কিছু অংশ নদীতে তলিয়ে যেতে দেখে সে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং ছুটে এসে স্থানীয়দের বিষয়টি জানান।
পরে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল, প্যানেল মেয়র ও স্থানীয় কাউন্সিলর ফরিদা ইলিয়াস, জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটোয়ারীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এসময় স্থানীয়দের আতঙ্কিত না হয়ে সাহস রাখতে এবং দ্রুত কার্যকর ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন জেলা প্রশাসক ও পৌর মেয়র।
আমি স্থানীয় কাউন্সিলর হিসেবে ভাঙ্গনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে জন্য পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েলের সাথে আলাপ করে ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নেয়ার চেষ্টা করবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মামুন হাওলাদার বলেন, ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথেই আমি ঘটনাস্থলে এসেছি, ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় ইতিমধ্যে সার্ভে করা হয়েছে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ঠরা তদন্তের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে পারবে কি কারণে এই ভাঙ্গন হয়েছে। মেরামতের জন্য আমাদের সংরক্ষনে এখন ৪ হাজার জিও ব্যাগ রয়েছে ও ১৪ হাজার সিসি ব্লক রয়েছে। দ্রুতই ডাম্পিং এর মাধ্যমে ভাঙ্গন নিয়ন্ত্রণ করা হবে। তবে নদী উত্তাল না থাকায় আপাতত ভয়ের কোন কারণ নেই। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
শহররক্ষা বাঁধের আশেপাশে প্রায় পাঁচ হাজার লোকের বসতি। স্থানীয়রা বাঁধের তলিয়ে যাওয়া অংশ দ্রুত মেরামতের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন।