চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথে চারটি স্টেশনের নতুন ভবন থাকলেও নেই কোনো কার্যক্রম। অন্তত চার বছর আগে ভবনের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হলেও এখানে নেই স্টেশন মাস্টার, টিকিটচেকার লাইনম্যানসহ কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী। এতে যেমনি সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে তেমনি দূর্ভোগে পড়েছে সাধারণ যাত্রী। ট্রেনের ভেতরে টিকিট কাটাতে গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।
চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথে ভবনের নির্মান কাজ শেষ হলেও কার্যক্রম চালু না হওয়া স্টেশনগুলো হলো: মৈশাদী, শাহাতলী, শাহারাস্তি, ও ওয়ারুক বাজার রেলস্টেশন। স্টেশনের দুর্ভোগ কমাতে দ্রুতই এসব স্টেশনের কার্যক্রম চালু করার দাবি স্থানীয়দের।
২০১২ সালে চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথ সংস্কার কাজের আওতায় রেলপথের ৪ টি স্টেশনের পুরাতন ভবন ভেঙে নতুন ভবন নির্মান করা হয়। যা ২০১৬ সালের মাঝামাঝিতে শেষ হয়। ভবনের কাজ শেষ হওয়ার দীর্ঘ ৪ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো এই স্টেশনগুলোর কোন কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হয়নি। এতে দীর্ঘদিন ভোগান্তিতে আছেন সাধারণ যাত্রী। তাছাড়া স্টেশন পর্যবেক্ষণে কেউ না থাকায় রাতে মাদকসেবীদের আড্ডা জমে এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে। এতে ভীতসন্ত্রস্ত এলাকাবাসী।
মৈশাদীর স্থানীয় বাসিন্দা আবুল বাশার খান জানান, চার বছর হল ভবনটি এভাবে পড়ে আছে। কি লাভ হলো সরকারের এত টাকা খরচ করে। এসময় কেউ কেউ বলেন, এটি স্টেশন থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে না পারায় ভিতর টিকেট নিয়ে পড়তে হয় নানা রকম ভোগান্তিতে। তাছাড়া ওই টিকিটের রাজস্ব সরকার পায় কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
সরেজমিনে শাহাতলী রেলওয়ে স্টেশনে গেলে কয়েকজন জানান, স্টেশন কার্যক্রম চালু না হওয়ায় যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া ও অতিরিক্ত সময় অপচয় করে তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়। তাই দ্রুতই স্টেশনের কার্যক্রম চালু করার দাবি জানান এলাকাবাসী।
এ সময় অনেকেই এগিয়ে এসে বলেন প্ল্যাটফর্ম গুলোর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কেউ না থাকায় রাতে মাদকসেবী ও আজেবাজে লোকের আড্ডাও জমে এখানে। তানিয় দুশ্চিন্তায় থাকেন স্থানীয়রা। এতে যেমনি এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে তেমনি নিরাপদ আশ্রয়ে মাদকসেবনের সুযোগ পাচ্ছে তারা।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের স্টেশন মাস্টার (ভারপ্রাপ্ত) সোয়াইবুল সিকদার বলেন, কাজ শেষ হলেও জনবল সংকটের কারণে স্টেশনের কার্যক্রম চালু হয়নি। তবে আমি আমার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করেছি। তারা আমাকে জানিয়েছেন দ্রুত সময়ে জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে স্টেশনগুলোতে মাস্টার এবং অন্যান্য কার্যক্রম চালু করা হবে।
নজরুল ইসলাম আতিক