বিল্লাল ঢালী :
চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শেষ হচ্ছে আজ ৮ অক্টোবর। এবার অপেক্ষার পালা। কে হচ্ছে পৌর পিতা? ইভিএম ভোটের মাধ্যমে দীর্ঘ ১৫বছর পর চাঁদপুর প্রবাসী পাচ্ছে নতুন অভিভাবক। সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ১০অক্টোবর শনিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পৌর নির্বাচন।
নির্বাচনে জনসমর্থন কার পক্ষে যাবে? কে হবেন চাঁদপুর পৌরসভার আগামী দিনের নগর পিতা?এমন সব প্রশ্ন ছাপিয়ে শনিবার রাতে জানা যাবে চাঁদপুর পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়রের নাম।
চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে তিন জন প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের মনোনীত দলীয় প্রার্থী জেলা আ’লীগের শিক্ষা ও মানববিষয়ক সম্পাদক জিল্লুর রহমান জুয়েল (নৌকা প্রতীক), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখার অর্থ সম্পাদক মামুনুর রশিদ বেলাল(হাতপাখা প্রতীক) , জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও চাঁদপুর শহর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন মাঝি (ধানের শীষ প্রতীক)। এই তিনজনের মধ্যে থেকে চাঁদপুর পৌরবাসী পাবেন তাদের আগামী ৫ পাঁচ বছরের অভিভাবক।
এবারের নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে জনমতে এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান জুয়েল। পরের অবস্থানে আছেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আক্তার হোসেন মাঝি। নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ভোটের ব্যবধানও খুব বেশি হবে না বলে মনে করছেন সচেতন মহল। তফসীল ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় বিরাজ করছে শান্তিপূর্ণ অবস্থা।
নির্বাচন বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তোফায়েল হোসেন জানান, চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাচন হবে ইভিএমে। পুনঃ তফসিল ঘোষণার পর সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব রকমের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত করার লক্ষ্যে পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডে নির্ধারিত ৫২টি কেন্দ্রে মোট ৩০৫টি কক্ষ ব্যবহারের জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, নির্বাচনে ৫২ কেন্দ্রে ৫২জন পিজাইডিং অফিসার, ৩০৫টি কক্ষে ৩০৫জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং প্রতি কক্ষে ২ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন। এজন্য ৩০৫টি কক্ষে ৩০৫টি ইভিএম মেশিন ব্যবহার করা হবে। এছাড়াও আরো ৩০৫টি ইভিএম মেশিন জরুরী প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য মজুদ রয়েছে। আমরা সুষ্ঠ্য ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে সব রকমের ব্যবস্থা গ্রহন করেছি।
উল্লেখ্য গত ২৯ মার্চ এই নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী শফিকুর রহমান ভূঁইয়া মারা যাওয়ায় নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। পরে করোনা মহামারির কারণে নির্বাচন কমিশন পুরো নির্বাচন স্থগিত রাখেন। পরে নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নির্বাচনের পুনঃ তফসিল ঘোষনা করেন। তফসিল অনুযায়ী ১৫ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। ১৭ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই, ২৪ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং ১০ অক্টোবর ভোটগ্রহণ। নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় মেয়র পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নতুন করে মনোনয়নপত্র দাখিলের সুযোগ পেয়েছেন। তবে ইতিপূর্বে সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে যাঁরা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন, তাঁদের নতুন করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হয়নি।
এই নির্বাচনে মেয়র পদে জাতীয় ৪১ টি মার্কা ও স্বতন্ত্র ১২ টি মার্কার যে কোন একটি নিয়ে যে কেউ মেয়র পদে প্রার্থীতা করতে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারতেন। ৫০ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর জন্য বরাদ্দকৃত ১২টি মার্কা ও ১৪ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীর জন্য ১০টি মার্কা চূড়ান্তভাবে প্রার্থীদের মাঝে বরাদ্দ হয়েছে।