স্টাফ রিপোর্টার:
চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাচন ঘিরে উৎসবের আমেজ তৈরি হলেও হঠাৎ বরফ জমে সেই আনন্দে। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শফিকুর রহমানের মৃত্যুতে বন্ধ হয়ে যায় নির্বাচন। অবশ্য এর পরপরই মহামারি করোনার থাবায় থমকে দাঁড়ায় দেশ ছাড়িয়ে বিশ্ব ব্যবস্থাপনা। বন্ধ হয়ে যায় দেশের প্রায় সবকটি স্থানীয় নির্বাচন পক্রিয়া। তারপর প্রায় চারমাস চলে যায় নিরবে। কিন্তু মানুষের মনে তুমুল আগ্রহ কবে হচ্ছে চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাচন। যদিও সংশ্লিষ্ট কেউ এর সঠিক উত্তর আপতত দিতে পারছে না। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকেও নির্বাচনের আগাম কোনো তথ্য জানাতে পারেনি। এদিকে চাঁদপুর পৌরসভার সাধারণ মানুষ যেন অধীর আগ্রহে ভোটের অপেক্ষায় প্রহর গুণছে।
পৌরসভার অধিকাংশ ভোটার সফিকুল, আরিফ, মাহমুদ, সাকিলসহ বেশ কয়েকজন জানায়, মহামারি করোনায় অনেক কিছু থমকে গেছে। আবার ধীরে ধীরে মানুষ স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছে। নির্বাচন প্রক্রিয়াও তরান্বিত হওয়া প্রয়োজন। কারণ করোনাকে নিয়েই পৃথিবী সামনে এগিয়ে যাবে। আমরাও বসে থাকলে চলবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজ কাউন্সিলর প্রার্থী জানান, গত ২৯ র্মাচ ভোট গ্রহণের দিন নির্ধারণ করা হলেও তা আর হয়ে উঠেনি। নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন। প্রয়োজনে সামাজিক দূরত্ব এবং মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করে ভোটিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যেতে পারে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন জানান, দেশের প্রচলিত নির্বাচনী আইন অনুযায়ী নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী মেয়র প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় গত ২৯ মার্চ নির্বাচনের বাতিল হয়ে যায়। চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনের পুরো নির্বাচনই নতুন করে তফসিল ঘোষণা মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। তবে কবে নাগাদ নির্বাচন হয় বলা মুশকিল।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মোঃ আতিয়ার রহমান মুঠোফোনে জানান, স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তাছাড়া বিষয়টি সিদ্ধান্তের এখতিয়ার উর্ধ্বতন মহলের।
চাঁদপুর জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, চাঁদপুর পৌরসভায় হালনাগাদ পর্যন্ত ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ১৬ হাজার ১২২জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫৯ হাজার ১৬১ জন এবং মহিলা ভোটার ৫৬ হাজার ৯৬১জন। তবে নির্বাচন পর্যন্ত এই সংখ্যা হালনাগাদের কারণে আরো বৃদ্ধি হতে পারে। এর আগে ২০১৫ সালের ২৯ মার্চ চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।