মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জাহিদ:
চাঁদপুর জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অফিসে বিদেশগামীদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১ টায় জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অফিসের সামনে বিদেশগামীদের জড়ো হয়ে প্রতিবাদ করতেও দেখা যায়। এসময় তারা অভিযোগ করেন তাদের কাছ থেকে সেবা বাবদ বাড়তি টাকা নেওয়া হচ্ছে। টাকা দিয়েও তারা সঠিক সেবা পাচ্ছে না। সেবা গ্রহণ করার জন্য তারা নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এছাড়াও করোনাভাইরাসের টিকা রেজিস্ট্রেশনে পড়তে হচ্ছে জটিলতায়। বিশেষ করে অনলাইনে টিকা নিতে যে এ্যাপস চালু করা হয়েছে তা সচল না হওয়ায় বিদেশগামীদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে আরো বেশি।
এদিকে শুক্রবার সকাল থেকে ‘আমি প্রবাসী’ সরকারের তরফ থেকে ওপেন করে দিলেও বিদেশ যেতে ইচ্ছুকরা আবেদন করতে পারছে না। এ্যাপসে নিবন্ধন করতে গিয়ে দেখা যায়, এ্যাপসের প্রথমে এসে মেল না ফিমেল, পরের ক্যাটাগরি বয়স, তারপর আপনি প্রবাসে না দেশে অবস্থান করছেন ক্যাটাগরি। বয়স ও শিক্ষাগত যোগ্যতা। সর্বশেষ যে ক্যাটাগারি রয়েছে সেখানে এনআইডি সম্বর দিতে হয়। তারপর আবেদন করতে হয়। কিন্তু সবকল ক্যাটাগরি সক্রিয় খাকলেও যোগ্যতার ক্যাটাগরি সচল না হওয়ায় আবেদন সফল হচ্ছে না। এ কারণে সবচে বেশি বিড়ম্বনায় পড়েছে প্রবাসে যেতে ইচ্ছুকরা।
শাহরাস্তি এলাকার বিদেশগামী যাত্রী মোঃ আবু সাঈদ জানান, আমি লকডাউনের মধ্যেও বিদেশ যাওয়ার আসায় ফিংগার দিতে এসেছি। এখানে এসে সরকারি নির্দিষ্ট টাকার বিপরীতে দিতে হয়েছে বাড়তি টাকা। সার্ভার ডাউন বলে নেয়া হচ্ছে না আমার ফিংগার। বলা হচ্ছে নতুন করে আমাকে এসএমএস দিয়ে তারিখ জানিয়ে দেয়া হবে। তারা এসএমএস দিলেও আমরা অনেকেই এসএমএস পাচ্ছে না। এতে আমরা হয়রানি শিকার হচ্ছি।
চাঁদপুরের আরেক বিদেশগামী যাত্রী ইমন জানান, আমি বিদেশ যাবো তাই করোনা ভাইরাসের টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে এসেছি। কিভাবে করতে হবে তা জানি না। এখানে এসেছি এখান থেকেও সঠিক তথ্য পাচ্ছি না। কেউ বলছে এখানে নানা কাগজ দিয়ে যেতে তারা করে দেবেন। আবার কেউ বলছেন এখানে হবে না। এখন বুঝতে পারছি না কোথায় গেলে রেজিস্ট্রেশন করতে পারব।
বিদেশগামীদের একসাথে হওয়ায় ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ। তিনি বিদেশগামীদের সাথে কথা বলেন। তাদের অভিযোগ শুনেন। পরে জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অফিসে কথা বলে প্রবাসীদের সমস্যা দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন এবং কার্যক্রমগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা দেন।
অভিযোগের বিষয়ে জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের জনশক্তি জরীপ কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন পাটোয়ারী জানান, মাঝেমধ্যে আমাদের সার্ভারে সমস্যা থাকে। যার জন্য আমরা সঠিক সময়ে কাজটি করতে পারি না। আজকেও আমাদের সার্ভারে সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা চেষ্টা করি প্রবাসীদের কাজ সঠিকভাবে করে দেয়ার। এখানে প্রবাসীদের হয়রানি করা হয় না।