স্টাফ রিপোর্টার:
ঐতিহ্যবাহী চাঁদপুর আহমাদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার নবগঠিত গভর্নিং বডির প্রথম সভায় ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পুনঃনির্বাচিত সভাপতি চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশকে ফুল দিয়ে বরণ করছেন মাদ্রাসার গভর্নিং বডির পুনঃনির্বাচিত সহ-সভাপতি, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও সদস্য সচিব অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত)সহ সকল সদস্য বৃন্দ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের কক্ষে জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে সভায় সভাপতি নবকমিটির সকলকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানান। গভর্নিং বডির সদস্য সচিব অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাচিত সকল সদস্যকে ফুল দিয়ে বরণ করেন। সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, করোনাকালে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে পড়াশুনায় মনোযোগ দিতে পারেনি তেমনভাবে। এসময় অনলাইন ক্লাস হয়েছে, এসাইনমেন্ট জমা দিতে হয়েছে অর্থাৎ শিক্ষামন্ত্রণালয় তথা সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। তারপর করোনা কমে আসলে পুরোদমে শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে প্রতিষ্ঠানে। টিকার আওতায় এনে তাদের অধিকাংশকে ভেকসিন দেয়া হয়েছে এবং তা চলমান । তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনা কমিটি, শিক্ষক এবং অভিভাবকরা সম্মিলিত প্রয়াস চালালে ঐ প্রতিষ্ঠান অবশ্যই সবদিক দিয়ে সুনাম করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। তিনি আরো বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকরা অবশ্যই ভূমিকা রাখবেন বেশি। তিনি বলেন, মাদরাসা শিক্ষা এখন আর কোনভাবেই পিছিয়ে নেই। বর্তমান সরকার মাদরাসা শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে যথেষ্ট নজর দিয়েছেন। এখানে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি বিজ্ঞান, কলা, বানিজ্য সকল স্তরের সাধারণ শিক্ষাকেও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। অতএব, আমি চাই, এ মাদরাসার শিক্ষার্থীরা যেন প্রকৃত শিক্ষা অর্জন করে জীবন চলার পথে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে এবং প্রকৃত দেশ প্রেমিক হয়ে দেশের সুনাগরিক হতে পারে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যোৎসাহী সদস্য শেখ আবদুল হাই, শিক্ষক প্রতিনিধি যথাক্রমে মোঃ ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী, মোঃ আমিনুল ইসলাম ও মোঃ জহিরুল ইসলাম, অভিভাবক সদস্য মোঃ আনোয়ার হোসেন বাবুল, ইকবাল খান ও মোঃ ওমর ফারুক ভুঁইয়া। সভায় অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাশেদা আক্তার (শিক্ষা ও আইসিটি)। এছাড়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আলহাজ্ব ওচমান গনি পাটওয়ারী। অন্য ২ বিদোৎসাহী সদস্য যথাক্রমে জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ গিয়াসউদ্দিন ও ডা. মোবারক হোসেনসহ চিকিৎসক সদস্য তাদের বিশেষ কাজ থাকায় সভায় উপস্থিত থাকতে পারেননি।