স্টাফ রিপোর্টার
আধুনিক বিশ্বে ভবন নির্মাণে প্রচলিত ইটের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয় বালু, সিমেন্ট আর নুড়ি পাথর দিয়ে বানানো বিশেষ ব্লক। প্রচলিত ইটের বদলে এর ব্যবহার সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব। ফসলি জমির মাটি রক্ষা এবং নির্মাণ ব্যয় কমাতে বাংলাদেশেও ধাপে ধাপে সরকারি ভবন ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণে ইটের বিকল্প হিসেবে কংক্রিটের বøক ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ২০১৯ সালে। ২০২৫ সালের মধ্যে শতভাগ কংক্রিটের ব্লক ব্যাবহারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু গত তিন বছরেও চাঁদপুরে এই সরকারি সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন নেই।
চাঁদপুর শিক্ষা প্রকৌশলী বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ফাহিম ইকবাল বলেন, বর্তমানে আমাদের যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে তার ১৮ সালে আগে সিডিউল করা। যে কারণে কংক্রিটের ব্লক ব্যবহার করা সম্ভভ হচ্ছে না। তবে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা পেলে এসব ব্যবহার করা হবে।
অবশ্য চলতি বছর থেকেই শতভাগ কংক্রিটের বøক ব্যবহারের নির্দেশনা পেয়েছে গণপূর্ত বিভাগ। চলতি অর্থ বছরের সকল কাজেই কংক্রিটের ব্লক সিডিউলে ধরা হয়েছে বলে জানান চাঁদপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রকিবুর রহমান।
চাঁদপুর পরিবশে অধিপ্তর সূত্রে জানায়, বর্তমানে চাঁদপুর জেলায় ইটভাটা ১০৬টি। যার অর্ধেকেরও বেশি অনুমোদনহীন। অন্যদিকে, কংক্রিটের ব্লক উৎপাদনে ৫ কারখানা গড়ে উঠলেও চাহিদা না থাকায় বন্ধ হয়েছে চারটি। উদ্যোক্তারা বলছেন, সরকারিভাবে ব্লকের ব্যবহার বাড়লে সাধারণ মানুষও আগ্রহী হবে।
চাঁদপুর শহরতলী প্রিমিয়ার ইকো ব্লক এর স্বত্ত্বাধিকারী হেলাল উদ্দীন বলেন, সরকারি ভাবে এসব ব্লক ব্যবহার শুরু হলে অবশ্যই সাধারণ মানুষও ব্যবহার শুরু করতো। কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠান নির্দেশনা না মানায় অনেকেই বøক উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। এক্ষেত্রে আমরা সরকারের সহযোগিতা চাই।
অপরদিকে চাঁদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোসাব্বের হোসেন মুহাম্মাদ রাজীব বলেন, দ্রুত সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে কংক্রিট ব্যবহারের জন্যে তাগিদ দেয়া হবে। প্রয়োজনে জেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে এর ব্যবহার নিশ্চিত কাজ করা হবে।
সট: উপ-পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর, চাঁদপুর
আকারভেদে প্রতিটি কংক্রিটের ব্লক বিক্রি হয় ১৫ থেকে ৪৫ টাকায়। সরকারি বিভিন্ন ভবন নির্মাণে ইটের বিকল্প এই কংক্রিটের ব্লক ব্যবহার করলে মানুষ ব্লক ব্যবহারে আগ্রহী হবে বলে মত সচেতন মহলের। না হয় সরকারের মহৎ উদ্যোগ আলোর মুখ ২০২৫ সালে নয়, কবে দেখবে তা বলা কঠিন।