স্টাফ রিপোর্টার:
চাঁদপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্যে স্থাপিত বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন কোনো কাজে আসছে না। বেশির ভাগ অচল, কোনটি সচল থাকলেও ব্যবহার করা হচ্ছে না। আবার কোন কোন প্রতিষ্ঠানে ৩বছরে লাগানোই হয়নি হাজিরা মেশিন। সংশ্লিষ্ট দপ্তর বলছে, অচল মেশিন সচলসহ ডিজিটাল হাজিরা নিশ্চিতে নির্দেশনা দেয়া হবে।
জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে চাঁদপুর জেলার ১হাজর ১শ ৫৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ¯িøপ বরাদ্ধ হয় ৬ কোটি ৭৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা বিবেচনা করে প্রতিটি বিদ্যালয়ে ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়। এই বরাদ্ধ থেকে প্রতিটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন ক্রয়ের নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনা মোতাবেক অধিকাংশ বিদ্যালয় মেশিন ক্রয় এবং স্থাপন করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। অনেক মেশিন নষ্ট আবার অনেক স্কুল প্রধান জানেন না এর ব্যবহার।
আশ্চর্যের বিষয় গত তিন বছরেও কোথাও কোথাও স্থাপন হয়নি বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন। আবার অনেকেই ইচ্ছে করে ব্যবহার করছেন না।
এসব বায়োমেট্রিক মেশিন স্থাপনে ১০-১৫ হাজার টাকা খরচ হলেও ব্যয় দেখানো হয়েছে অধিক। শিক্ষক নেতারাও এমন সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন।
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মোস্তফা কামাল বাবুল বলেন, করোনাকালীন সময়ে অনেক মেশিন ব্যবহার করা হয়নি। তাই কিছু নষ্ট হতে পারে। তবে এসব বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন সচল করে ব্যবহার করা হবে।
চাঁদপুর জেলার ১হাজর ১শ ৫৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ২০১৯ সালের জুন মাসের মধ্যে এসব বিদ্যালয়ের জন্য হাজিরা মেশিন ক্রয় সম্পন্ন করার জন্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ছিল। পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়নের অভাবে ভেস্তে যাচ্ছে এ উদ্যোগ। যদিও দ্রæত সময়ের মধ্যে অচল মেশিন সচল এবং বায়োমেট্রিক হাজিরা নিশ্চিতে নির্দেশনা দেয়া হবে বলে জানান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো সাহাব উদ্দিন। তিনি বলেন, অচল মেশিন সচলসহ ডিজিটাল হাজিরা নিশ্চিতে খুব শীঘ্রই নির্দেশনা দেয়া হবে।
২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক জরুরি সভায় সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক উপস্থিতি শতভাগ নিশ্চিত করতে বায়োমেট্রিক হাজিরা সিস্টেম চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।