ইকবাল বাহার:
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেছেন, কুচক্রীমহল থেমে নেই তারা আমাদের দেশটাকে আফগানিস্তান বানাতে চায়। একটার পর একটা ইস্যু তৈরি করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতেই থাকবে। তাই আমাদের যার যার অবস্থান থেকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, এদেশ শান্তি ও সম্প্রীতির দেশ। আমাদের এখানে হিন্দু-মুসলমান অন্যান্য সম্প্রদায় যারা আছেন সবাই এদেশেরই নাগরিক। সবারই সুন্দরভাবে বসবাসের অধিকার আছে। এদেশকে আফগানিস্তান বানানো যাবে না। এটি বাংলাদেশ। এর সবটা সীমানা জুড়ে সম্প্রীতির সুবাতাস বহুদিনের, বহুযুগের। একটা গ্রুপ অর্থ ব্যয় করে তরুণ প্রজন্মকে ভিন্নমুখীতে নিয়ে যেতে চাচ্ছে। তাই তরুণ প্রজন্মকে সত্যিকারের ধর্মীয় জ্ঞান সম্পর্কে ধারনা দিতে হবে। গতকাল রোববার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, গত বুধবারের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা মাজিস্ট্রেটকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিভিন্ন পূজামণ্ডপের সিসি ক্যমেরার ফুটেজগুলোও আমরা সংগ্রহ করেছি। সেখানে সকল ধর্মের লোকই দেখা যাচ্ছে, যা আমার কাছে এটিই বড় দুঃখের বিষয়। আমি আশা করছি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেই সেই ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
তিনি আরো বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক না থাকে তাহলে সকল উন্নয়নই বাধাগ্রস্ত হবে। তাই পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক হয় তাহলে জেলার সকল অফিস তাদের স্বাভাবিক কাজ কর্মগুলো করতে পারবে। শহরের যানজট নিরষনে অটোরিক্সার ব্যাপারে বলেন, পৌরসভার অটো লাইসেন্স ও ইজি বাইকের ব্যাপারে পৌরসভাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং সেই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে আমরা কাজ করবো।
সভায় পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া বিষয়ে বলেন, সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে কিছু কুচক্রী মহল উঠে পড়ে লেগেছে। কয়দিন আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা তারই প্রমাণ। সরকার আমাদের দায়িত্ব দিয়েছে মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য। সেই নিরাপত্তার জন্য অস্ত্র দিয়েছে। আমরা সেই অস্ত্র ব্যবহার করতে চাই না। কিন্তু যখন নিরাপত্তার প্রশ্ন আসে তখন ছাড় দেয়া হবে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে যারা সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দিয়েছে এমন একটি তালিকা করা হয়েছে। আমরা হেড অফিসে যোগাযোগ করেছি। আজকে থেকে তাদের গ্রেফতারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এসময় তিনি সাধারণ লোকজনকে বুঝানোর জন্য জনপ্রতিনিধিদেরকে অনুরোধ করেন। তিনি আরও বলেন, আমরা জানি চাঁদপুর পৌরসভার ২৮শ লাইসেন্স কিন্তু চলে প্রায় ১৩ হাজার। ছোট্ট এই শহরের জন্য এটা বিশাল। এই ব্যপারে আইনগত ব্যবস্থা নিতে গেলে সবাই সুপারিশ নিয়ে আসে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মিজানুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ গোলাম কাউসার হিমেল, সড়ক বিভাগের নির্বাহী পরিচালক মোঃ আতিকুল্লাহ ভূঁইয়া, গণপূর্তের নির্বাহী পরিচালক মোঃ রকিবুর রহমান, জেলা আ.লীগের সভাপতি আলহাজ্ব নাসির উদ্দীন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (জেনারেল) ইমতিয়াজ হোসেন, প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, সকল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, সকল উপজেলার ইউএনও, এবং জেলার সকল অফিস প্রধানসহ অন্যান্যরা।