বিল্লাল ঢালী:
লকডাউনের ১৪ দিনে চাঁদপুরে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১১ জন মৃত্যুবরণ করেছে। আর এ সময়ের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছে ১২১৪ জন। দিনের হিসেবে গড়ে ৮৬ জনের বেশি ব্যক্তি একদিনে আক্রান্ত হয়েছে। মহামারী করোনাভাইরাস একটি এলাকার মধ্যে ভয়াবহতা বিস্তার করতে একজন আক্রান্ত ব্যক্তি যথেষ্ট। সেখানে ৮৬ জন ব্যক্তি অনেক। এতেই বোঝা যায় চাঁদপুরে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কতটা ভয়াবহ আকারে অবস্থান করছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষ এখনো উদাসীন। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ঘর থেকে বের হচ্ছে ইচ্ছে মত। স্বাস্থ্য বিধি মানায় রয়েছে উদাসীন।
বুধবার (১৪ জুলাই ) করোনা আক্রান্ত হয়ে জেলায় আরো ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১৩৯ জন। এনিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬৯৪ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৫২৭১ জন। এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে জেলায় মৃত্যুবরণ করেছে ১৩৮ জন। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী নতুন ৩ জনের মধ্যে একজন মতলব দক্ষিণ উপজেলার বাসিন্দা এবং অন্য দু’জন শাহরাস্তি উপজেলার বাসিন্দা। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ শাখাওয়াত উল্লাহ।
বুধবার মোট ২৯৯ টি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে। এদের মধ্যে ১৩৯ জনের রিপোর্ট পজেটিভ এবং বাকী রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৫৯ জন , হাজীগঞ্জে ২১জন, কচুয়ায় ৬ জন, ফরিদগঞ্জে ৫ জন, হাইমচরে ৫ জন, শাহারাস্তিতে ২০ জন, মতলব উত্তরে ২ জন ও মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ২১ জন।
জেলায় এখন পর্যন্ত রিপোর্ট এসেছে ৩৫হাজার ২শ ১৬ টি। যার মধ্যে পজেটিভ এসেছে ৬ হাজার ৬শ ৭৫ টি । এবং নেগেটিভ এসেছে ২৮ হাজার ৫শ ৪১ টি রিপোর্ট।
জেলায় মোট ৬ হাজার ৬শ ৯৪ জন আক্রান্তের মধ্যে চাঁদপুর সদরে ৩১৩৬, ফরিদগঞ্জে ৭১৮, মতলব দক্ষিণে ৫৮৮, শাহরাস্তিতে ৬৮৫, হাজীগঞ্জে ৬৭৮, হাইমচরে ৩০২, মতলব উত্তর ৩৪৯ ও কচুয়ায় ২৩৮ জন ।
জেলায় মৃত্যুবরণকারী মোট ১৩৮জনের মধ্যে চাঁদপুর সদরে ৫২, ফরিদগঞ্জে ২৩, মতলব দক্ষিণে ৮, শাহরাস্তিতে ১২, হাজীগঞ্জে ২১, হাইমচরে ৩, মতলব উত্তরে ১২ ও কচুয়ায় ৭ জন।
করোনার সংক্রমণ বিষয়ে ডাক্তার মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, করণা সংক্রমণ রোধ একমাত্র মানুষ সচেতন হলেই সম্ভব। যতদিন মানুষ সচেতন না হবে ততদিন আক্রান্তের হার কমবে না।